ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কদম না ফুটলে পূর্ণতা পায় না বর্ষা

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ১৯ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
কদম না ফুটলে পূর্ণতা পায় না বর্ষা

কদম ফুল বাংলার এক চির চেনা ফুলের নাম। ফুলটির সাথে ছোট-বড় সবাই পরিচিত। এ ফুল না ফুটলে যেনো বর্ষা পরিপূর্ণতা হারায়।

বর্ষাকাল এলে দেশের অন্য স্থানের মতো গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ও গ্রামগঞ্জে গাছে গাছে ফুটে ওঠে হলুদ ও সাদা মিশ্রিত কদম ফুল। বাতাসের সাথে কদমের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন সবাইকে মোহিত করে তোলে। মনে প্রাণে প্রেমের আলোড়ন সৃস্টি করে। যে কারণে অনেক কবিই প্রেমের কবিতা লিখেছে কদম ফুলকে নিয়ে।

জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, নজরুল পাবলিক লাইব্রেরি, পাচুড়িয়া এলাকায় রয়েছে কদম ফুলের গাছ। এসব গাছে ফুটে রয়েছে অসংখ্য হলুদ আর সাদা বর্ণের কদম ফুল। ফুলের ঘ্রাণে চারিদেক মৌ মৌ করছে। একটি দু’টি নয় অসংখ্য ফুল।

এ ফুলের ঘ্রাণে শুধু মানুষ নয়, আকর্ষিত হয় পাখিরাও। কদম ফুলের গাছের ডালে বসে থাকে পাখিরা। বৃষ্টিতে কদম ফুলের সাথে সাথে পাখিরাও স্নান করে। পাখির কলোকাকলিতে বাতাসের দোলায় নেচে নেচে যায় কদম ফুল। এক এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। যার মনে প্রেম বা ভালোবাসা নেই সেও যেন এক মূহূর্তের দেখায় প্রেমে পড়ে যাবে।

কদম ফুল সংগ্রহ করতে এসেছেন মেহেজাবীন ও আকাশ শেখ। তারা বলেন, ‘বর্ষাকালে গাছে গাছে কদম ফুল ফোটে। আর কদম ফুল নিতে না পারলে যে বর্ষাকালটাই বৃথা যায়। গাছ থেকে কদম ফুল নিয়ে গিয়ে বাসায় রেখে দিবো। কদম ফুলের ঘ্রাণে ভরে উঠবে সারা ঘর। একটা অন্য রকম অনুভূতির জন্ম দেয়।’

কবি ও সাহিত্যক রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, ‘কদম ফুলকে প্রেমের ফুল বললেও ভুল হবে না। ফুলটি প্রেমেরই একটি অংশ। গাছে গাছে কদম ফুল না ফুটলে বর্ষাকালটাই যেন বৃথা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে অপ্রয়োজনীয় মনে করে কদম গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এখন তেমন একটা কদম ফুল গাছ দেখা যায় না। যাও দুয়েকটি দেখা যায়, জলবায়ুর প্রভাবের কারণে ফুল একবারেই কম ফোটে। সকলের উচিত নিজ নিজ বাড়িতে একটি করে হলেও কদম ফুল গাছ লাগানো।’





গোপালগঞ্জ/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়