ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

কভার লেটার লিখবেন যেভাবে

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০২, ১৩ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কভার লেটার লিখবেন যেভাবে

প্রতীকী ছবি

আহমেদ শরীফ : কভার লেটার মানে হলো প্রত্যাশিত চাকরির জন্য জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে লিখে পাঠানো প্রার্থীর মনোভাব প্রকাশের একটি ডকুমেন্ট। এর মাধ্যমে আপনি নিজের আশা, আকাঙ্ক্ষা, যোগ্যতা নিয়ে কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি লেখার সুযোগ নিতে পারেন। তবে অগোছালো বা  ত্রুটিপূর্ণভাবে লেখা একটি কভার লেটার একটি অসাধারণ চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর তাই আপনি কেমন কভার লেটার লিখবেন, সে ব্যাপারে যথেষ্ট মনোযোগী হতে হবে আপনাকে।

সাধারণ ভুলগুলো শুধরে নিন
কভার লেটার লেখার ক্ষেত্রে সাধারণ যেসব ভুল করে সবাই, সেগুলো শুধরে নিন আপনি। যেমন:

* পদের নাম না লেখা : অনেক কোম্পানি একই সঙ্গে একাধিক পদের জন্য আবেদন পত্র আহবান করেন। আর তাই সম্বোধনের পরই কোন পদের জন্য আপনি আবেদন করছেন তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করুন।

* পৃথক কোম্পানিতে পৃথক কভার লেটার লিখুন : কভার লেটারের মূল উদ্দেশ্য হলো কর্তৃপক্ষকে ব্যক্তিগতভাবে কাঙ্ক্ষিত পদের জন্য আপনার আগ্রহ ও যোগ্যতার কথা জানানো। তাই প্রত্যেকটি আলাদা কোম্পানিতে চাকরির জন্য জীবনবৃত্তান্ত জমা দেয়ার পাশাপাশি পৃথক কভার লেটার লিখুন।

* তথ্যের পুনরাবৃত্তি করবেন না : আপনার জীবনবৃত্তান্তে যেসব তথ্য উল্লেখ করা আছে, কভার লেটারে সেগুলোর পুনরাবৃত্তি করবেন না। বরং জীবনবৃত্তান্তে যেসব তথ্য নেই, সেসব উল্লেখ করুন। আগের চাকরিতে যেসব বড় সাফল্য অর্জন করেছেন আপনি, সেগুলোর ব্যাখ্যা দিয়ে কিভাবে নতুন কোম্পানিতে তা কাজে লাগাতে পারবেন, তা জানান।

* শুধু ব্যক্তি স্বার্থের কথা বলবেন না : আপনার বেতন কেমন হবে, নতুন চাকরিতে কি কি সুবিধা পাবেন এসব প্রশ্ন করে কভার লেটারে কিছু লিখবেন না।

* আত্মবিশ্বাস ও নম্রতার ভারসাম্য বজায় রাখুন : নিজেকে যোগ্যতর হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে অনেকে উদ্ধতপূর্ণ কথা লেখেন কভার লেটারে, নিয়োগদাতারা এতে ওই প্রার্থীর ব্যাপারে সাধারণত নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। উৎসাহ আর ইতিবাচক ভাব ফুটিয়ে তুলুন কভার লেটারে। তবে তা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখুন।

কভার লেটার যেমন হওয়া চাই
কভার লেটার লেখার ধরন সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে আপনাকে। কারণ সংক্ষেপে আপনার প্রতিভার প্রকাশ ঘটবে কভার লেটারের মাধ্যমেই। তাই:

* লেখার শুরুতে ‘টু হোম ইট মে কনসার্ন’ লিখবেন না। উর্ধ্বতন কারো নাম সম্বোধন করে লিখুন।

* প্রথমেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাগুলোর কথা জানান।

* শুরুতেই প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন কোনো বাক্য লিখুন।

* চাকরির বিজ্ঞপ্তির কথা উল্লেখ করুন।

* একটি অনুকরণীয় কভার লেটারের সঙ্গে আপনার কভার লেটারটি মিলিয়ে দেখুন।

কি লিখেছেন তা ভালো করে দেখুন বার বার
কভার লেটার পাঠানো বা ই-মেইল করার আগে সেটি বার বার প্রুফ রিডারের মতো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখুন। বানান বা গ্র্যামারের কোনো ভুল আছে কি না তা খুঁজে বের করতে কোনো বন্ধু বা আত্মীয়কে অনুরোধ করুন। কভার লেটারের সঙ্গে জীবনবৃত্তান্ত পাঠানোর আগেও একই ভাবে কাউকে দিয়ে ভুল আছে কি না জেনে নিন। বানান বা ভাষাগত কোনো ছোট ভুলের কারণে নিয়োগদাতারা আপনার কাছ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারেন। কভার লেটার ছোট একটি ডকুমেন্ট হতে পারে। তবে এটি গুরুত্ব বহন করে। এটি পড়েই নিয়োগদাতারা আপনার সম্পর্কে ধারণা পেয়ে আপনার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ‘জীবনবৃত্তান্ত’ পড়তে আগ্রহী হবেন। 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ অক্টোবর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়