ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কম বাজেটে সর্বোচ্চ আয়ের ১০ সিনেমা (প্রথম পর্ব)

রুহুল আমিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২১, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কম বাজেটে সর্বোচ্চ আয়ের ১০ সিনেমা (প্রথম পর্ব)

ছবির কোলাজ

রুহুল আমিন : সর্বোচ্চ আয় করা  হলিউড সিনেমার মধ্যে অ্যাভাটার শীর্ষে আছে।  এই সিনেমাটিকে সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।  তা ডিবিডির যুগ হোক আর বর্তমানের অনলাইনের যুগ হোক না কেন। কোটি টাকা ব্যয় করে কোটি টাকা আয় সিনেমার সাধারণ ঘটনা।

অ্যাভাটারের ক্ষেত্রেও এই কথা খাটে। কারণ সিনেমাটি নির্মাণ ব্যয়ও কম ছিল না। অ্যাভাটার নির্মাণে জেমস ক্যামেরুনের ব্যয় হয়েছিল ২৩৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার।  যার আয় ছিল খরচের ১০ গুণ।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, বিশ্ব চলচ্চিত্রে এমন কিছু সিনেমা আছে যার বাজেট খুব কম থাকা স্বত্বেও আয়ের পরিমাণের দিকে চোখ গেলে অবাক হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। কিছু কিছু সিনেমার ক্ষেত্রে তো মূল বাজেটের কয়েক শত গুণেরও বেশি আয় হয়েছে।  কম বাজেটে সর্বোচ্চ আয়ের ১০ সিনেমা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন। দুই পর্বের এই প্রতিবেদনের প্র্রথম পর্বে থাকছে-

নেপোলিয়ন ডিনামাইট :  নেপোলিয়ন ডিনামাইট সিনেমাটি ২০০৪ সালে মুক্তি পায়। আমেরিকার কমেডি ঘরানার সিনেমা এটি। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হলো, এই সিনেমাটি মূল বাজেটের ১০০ গুণেরও বেশি আয় করেছে। সিনেমাটি নির্মাণে বাজেট ছিল মাত্র চার লাখ ডলার।  আর সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী সব মিলিয়ে আয় করে ৪৬ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার।  মজার ব্যাপার হলো সিনেমাটির সংশ্লিষ্ট কেউ কল্পনাও করেনি এতো বেশি আয় করবে সিনেমাটি।  কিন্তু সিনেমাটি দর্শকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলে। সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জন হাডার। তিনি তার চরিত্রে অভিনয় করার জন্য মাত্র এক হাজার ডলার সম্মানি নেন প্রথমে। তবে বক্স অফিসে সিনেমাটি ঝড় তোলার পর তিনি লাভের অংশ বিশেষ পান।

 


স : স সিনেমাটিও ২০০৪ সালে মুক্তি পায়। সাইকোলজিক্যাল হরর সিনেমা এটি। জেমস ওয়ান সিনেমাটি পরিচালনা করেন।  আসলে জেমস জানেন কিভাবে সিনেমা তৈরি করলে মানুষ তা দেখে ভয় পেয়ে যাবেন।  খুব কারিশমা জানেন তিনি বোধয়। তার ভেলকি সম্পর্কে দর্শকরাও মোটামুটি অবগত। তারপরও স ভিন্ন ধরনের সিনেমা। এটি এমন এক হরর সিনেমা যা আপনাকে কয়েকদিন গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে রাখবে। সিনেমাটি করতে ব্যয় হয়েছিল ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে সিনেমাটি ১০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।

ওয়ান্স : ওয়ান্স মিউজিক্যাল রোমান্সধর্মী ফিল্ম। আইরিশ এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন জন কার্নি। সিনেমার কাহিনি হলো উঠতি সংগীতশিল্পী দুই ছেলে-মেয়ের সংগ্রামী জীবন। সিনেমাটি দর্শকদের খুব মুগ্ধ করে। মজার ব্যাপার সিনেমাটি নির্মাণে মূল বাজেট ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর সিনেমাটি ২৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার আয় করে। এ তো গেল টাকার অংকে লাভের হিসাব। পুরস্কারের ক্ষেত্রে ওয়ান্স সিনেমাটি কম যায়নি। সিনেমাটির ফলিং স্লোলি গানটি অরিজিনাল গান হিসেবে জিতে নিয়েছে ৮০ তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড।

 


হ্যালোইন : হ্যালোইন দিবস সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানে। মৃত আত্মার স্মরণে বিশ্বব্যাপী এই দিবস পালন করা হয়। ওই রকম একটি দিবসকে কেন্দ্র করেই হ্যালোইন সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। সিনেমাটি পরিচালনা করেন জন কার্পেন্টার। ‍হ্যালোইন সিনেমাটি ইনডিপেনডেন্ট হরর সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে ব্যবসা করা সিনেমা। ভয়াবহ রকমের সাইকোলজিক্যাল হরর সিনেমা হ্যালোইন। যেখানে ছয় বছর বয়সী মিশেল তার বোনকে রান্না ঘরের ছুরি দিয়ে খুব ভয়ঙ্করভাবে খুন করে।  পরে মানসিক হাসপাতালে যায়। সেখান থেকে ১৫ বছর পর পালিয়ে এসে আবার খুন করে। সিনেমাটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয় ৩ লাখ ২৫ হাজার ডলার। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি আয় করে ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আমেরিকান গ্রাফিটি : আমেরিকান গ্রাফিটি সিনেমাটি ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়। সিনেমাটি পরিচালনা করেন জর্জ লুকাস। সিনেমাটি সমালোচকদের দ্বারা বেশ প্রশংসিত হয় এবং সেরা সিনেমা হিসেবে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়। আমেরিকান গ্রাফিটি নিঃসন্দেহে সর্বকালের সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার একটি। সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৭৭ হাজার মার্কিন ডলার। শুধু বক্স অফিস থেকেই আসে ১৪০ মিলিয়ন ডলার। যা বাজেটের প্রায় ১০৮ গুণ। আর ডিবিডি বিক্রি করেও কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করে সিনেমাটি।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ জানুয়ারি ২০১৭/রুহুল/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়