ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কর্মক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা বাড়ান

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৭, ৩১ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কর্মক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা বাড়ান

প্রতীকী ছবি

আহমেদ শরীফ : ‘কাজ ঠিকমতো করা’, এই অস্পষ্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ধারণাটি বেশিরভাগ চাকরিজীবীর সফলতার জন্য প্রধান ভূমিকা রাখে। তবে ‘কাজ’ হলো চিন্তা, পরিকল্পনা, অনুসন্ধান, সিদ্ধান্ত নেয়া এসবের এক বিরামহীন চক্র। আর তাই কাজে দক্ষতা আনতে হলে আপনাকে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্রথম পদক্ষেপ

সবকিছু ঠিকমতো করার চিন্তা করুন: নির্দিষ্ট মানসিক ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে শুরু করুন প্রথম পদক্ষেপ। কিছু না করার ইচ্ছা বা আড্ডা দেয়ার মানসিকতা কি সব সময় আপনার মনে বাসা বাঁধে? তাহলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। কারণ আপনার এ ধরনের ভাবনা কাজের গতি রোধ করতে পারে। গঠনমূলক চিন্তা করুন। এতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। নিজের সঙ্গে কথা বলার জন্য কমপক্ষে ১৫ মিনিট সময় বেছে নিন। তারপর নিরিবিলি পরিবেশে ভাবুন আপনার কাজের দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কি কি নেতিবাচক দিক বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

দ্বিতীয় পদক্ষেপ

কাজের পরিকল্পনা লিখে রাখুন: কাজ সম্পন্ন করার সম্ভাব্য সময় ও ধরন নিয়ে পরিকল্পনা করুন। সে পরিকল্পনা লিখে রাখুন, কারণ যেকোনো কিছু লেখার ফলে তা মনে গেঁথে যায়। তা কাজটি সঠিক সময়ে শেষ করার জন্য আপনাকে তাগিদ দিবে। এক্ষেত্রে একটি তালিকা তৈরি করতে হবে আপনাকে। যেমন:

* কাজের পরিধি, যা আপনার অফিসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

* বিভিন্ন সমস্যা, যেগুলো সমাধানের মাধ্যমে কাজের নতুন গতি সৃষ্টি হবে এবং আপনার মাথা থেকে বোঝাও কমবে।

* জমে থাকা কাজ, যেমন বিভিন্ন ফাইল গুছানো, সম্পন্ন করা।

আর তাই এমন একটি পরিকল্পনা করুন

* যা কাজের পরিধির উপর আলোকপাত করবে।

* বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করবে।

* জমে থাকা কাজ শেষ করতে কার্যকর ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করবে।

* যা আপনার অথবা বসের পছন্দ ও পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হবে।

* দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করতে যা একটি কার্যকর সময়সীমা অবলম্বন করবে।

* যাতে আপনার কাজের মূল্যায়ন করার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে।

তৃতীয় পদক্ষেপ

কাজ শেষের সময়সীমা নির্ধারণ করুন: প্রত্যেকেরই অফিসে প্রতিদিনের জন্য নির্ধারিত সময় থাকে। মূলত তা ৮ ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ। আর এ সময়েই আপনাকে সব কাজ করতে হবে। তবে যদি কাজের চাপ বেশি থাকে, তাহলে আপনাকে যা করতে হবে:

* প্রতিদিন ঘন্টাখানেক আগে অফিসে আসুন, অথবা ঘন্টাখানেক পর অফিস থেকে যান। প্রয়োজনে দুটোই করে কাজ শেষের চেষ্টা চালাতে পারেন আপনি।

* যেসব কাজ আগে শেষ করতে হবে, সেগুলো ধরুন, শেষ করুন।

* যে কাজটি আপনি সময়মতো সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবেন বলে মনে করেন, সেগুলোই নিন। প্রয়োজনে বসকে না বলতে শিখুন। নইলে সময় মতো কাজ শেষ করতে না পারলে বসের কাছে আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।

* বসের দেয়া সময়ের আগে নিজেই কাজ শেষের একটি সময় নির্ধারণ করুন। এতে কাজের গতি বাড়বে।

* সংগঠিত হোন, যাতে করে তিন মিনিটের মধ্যেই যেকোনো জিনিস আপনার হাতের কাছে পাওয়া যায়। অফিসে এটি খুবই জরুরি।

* দিনের যে সময়ে আপনার কাজের গতি, আগ্রহ বেশি থাকে, সে সময় গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সেরে ফেলুন। আপনার শরীরের ছন্দ ঠিক রাখুন। এতে কাজে শৃংখলা বজায় থাকবে।

চতুর্থ পদক্ষেপ

সিদ্ধান্ত নিন: প্রতিটি সিদ্ধান্ত যেন আপনার পরিকল্পনায় গঠনমূলক অবদান রাখে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কাজ শুরু করতে কি ইতস্তত বোধ করেন আপনি? এক্ষেত্রে কাজ শুরু করার একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নিন। আপনার ইচ্ছে না থাকলেও নিশ্চিত করুন যেন সে সময়েই কাজটি শুরু করা যায়। এভাবে কাজ করলে বসের চোখে এমনকি সহকর্মীদের কাছেও আপনার কাজের একাগ্রতা প্রশংসিত হবে। কাজে উৎসাহ যোগাতে আপনার সম্পন্ন হওয়া কাজগুলো ও তাদের ফলাফল যাচাই করুন। এতে আপনার দক্ষতা বাড়বে পর্যায়ক্রমে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ আগস্ট ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়