ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কর্মক্ষেত্রে যেভাবে শান্তি পাওয়া যায়

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৪, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কর্মক্ষেত্রে যেভাবে শান্তি পাওয়া যায়

প্রতীকী ছবি

আহমেদ শরীফ : আপনি যে অফিসে কাজ করছেন, সে অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমনকি মালিক এটাই চাইবেন যেন কর্মক্ষেত্রে আপনার মধ্যে কোনো অসন্তোষ না থাকে। কারণ কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মধ্যে অসস্তোষ থাকলে কোম্পানির উৎপাদন ব্যাহত হবে। পিছিয়ে পড়বে কোম্পানি। আপনি ব্যক্তিগতভাবেও অসন্তোষ নিয়ে অফিসে কাজ করার আগ্রহ পাবেন না। তাই কর্মক্ষেত্রে সুখী হওয়ার কিছু মূলমন্ত্র জানা চাই আপনার।

গবেষণায় যা জানা গেছে : গ্যালাপ পোল নামের ম্যানেজমেন্ট কনসালটিং কোম্পানির এক জরিপে জানা গেছে, ৭০ শতাংশের মতো কর্মচারী-কর্মকর্তা তাদের কর্মক্ষেত্রে সন্তুষ্ট না। তাদের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রের আবেগজনিত একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে, যাতে করে তাদের কাজের গতি কমে গেছে।

কেন কর্মক্ষেত্রে শান্তি জরুরি? : ওই গবেষণায় জানা গেছে, কর্মক্ষেত্রে অসন্তুষ্ট কর্মচারী তার নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই কাজের গতি হারিয়ে মালিকের স্বার্থের বিরুদ্ধে চলে যায়। এমনকি যদি কর্মচারী-কর্মকর্তার অসন্তোষ বেড়েই চলে তখন তারা কোম্পানির বিভিন্ন উপকরণ চুরি করে, অন্য কর্মচারীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে ও কোম্পানির ক্লায়েন্ট/কাস্টমারদেরও তাড়িয়ে দেয়।

ইনক্রিমেন্ট কি সমস্যার সমাধান? : প্রথমেই মনে হবে বেতনের ভালো ইনক্রিমেন্ট এ ধরনের অসন্তোষ দূর করবে। তবে জরিপে জানা গেছে, এটা স্থায়ী নয়, অস্থায়ী এক সমাধান। উল্টো ধারাবাহিক বেতন বৃদ্ধি কর্মকর্তার উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিতে পারে। কারণ কর্মকর্তারা এটা ভেবে বসতে পারেন তাদের পারফরম্যান্সের সঙ্গে ইনক্রিমেন্টের কোনো সংযোগ নেই। তবে এটাও ঠিক যে, ইনক্রিমেন্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর আত্মবিশ্বাস, কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়।

তাহলে কর্মক্ষেত্রে শান্তি কীসে? : গবেষণায় যে মূল বিষয়টা জানা গেছে, কর্মক্ষেত্রে একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর শান্তি আসে মূলত প্রতিদিন তার স্বাধীনভাবে কাজ করার ওপর। আর এই স্বাধীনতার মূল বৈশিষ্ট্য হলো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকা। কোনো ক্লায়েন্টকে মেইল করা সহ অফিসের কোনো কাজে সিনিয়রদের শরণাপন্ন না হয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, এমন ক্ষমতা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে সুখের অনুভূতি দেয়। এছাড়া কোনো নতুন আইডিয়া শেয়ার করতে পারা, কোনো কাজ বা প্রজেক্টে সুপারিশ করতে পারার ক্ষমতাও তাদের মনে শান্তি এনে দেয়।

আরো কিছু ফ্যাক্টর : যে সিনিয়রের তত্ত্বাবধানে কর্মচারী কাজ করেন, ওই সিনিয়র যদি স্কুলের শিক্ষকের মতো খবরদারি করেন, তাহলে কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেবেই। তাই সিনিয়ররা সেরকম আচরণ না করলে, কর্মচারী তার দায়িত্ব স্বাধীনভাবে পালন করার সুযোগ পেলে, অফিসে কাজের সময়টা মনের মতো হলে, এমনকি ঘরে বসেও অফিসের কিছু কাজ করার সুযোগ পেলে কর্মচারীরা খুশি হন। মূল কথা, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকলে, সিনিয়ররা প্রতিনিয়ত খবরদারি না করলে, স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে শান্তিতে থাকেন।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ডিসেম্বর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়