ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কামারপাড়ায় ঘুম নেই

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ৮ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কামারপাড়ায় ঘুম নেই

মামুন খান : আগামী সোমবার ১২ আগস্ট সারাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। এটি মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব।  আর ঈদুল আজহা বাংলাদেশে কোরবানীর ঈদ হিসেবে বেশি পরিচিত। কারণ এই ঈদে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সামর্থ্যবান মুসলিমরা পশু কোরবানী দিয়ে থাকেন।

ঈদুল ফিতরে কেনাকাটা ও মিষ্টি সেমাই নিয়ে যেমন তোড়জোড় থাকে তেমনি কোরবানি ঈদে থাকে পশু ক্রয় ও দা-ছুরি কেনাকাটার ঝোঁক। তাই বাড়তি দা-ছুরির চাহিদা মেটাতে ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামারপাড়ায়।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন কামারপাড়ায় ঘুরে দেখা যায় কামারীদের ব্যস্ততা। তাদের দম ফেলার সময় নেই। রাত-দিন টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারপাড়া। রাজধানীর শনির আখড়া, গোপীবাগ, খিলগাঁও, পুরান ঢাকা ও নয়াবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

কয়েকজন কামারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা বেশ খুশি। কারণ সারাবছর তারা এই দিবসের অপেক্ষায় থাকেন। কারণ এই ঈদেই তাদের মূলত আয় হয়। সারাবছর তেমন কাজের চাপ থাকে না। তাদের কাছেও এটা অন্যরকম এক উৎসব।

দা-ছুরির দাম কেমন জানতে চাইলে দা-ছুরি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, 'প্রতি পিস চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা, চামড়া তোলার ছু্রি ১০০ থেকে ২৫০ টাকা, জবাই করার ছুরি ৩০০ থেকে ১২০০ টাকা, চাইনিজ কুড়াল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, ছুরি ধার করার স্টিল প্রতি পিস ৫০ টাকা, দা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, বটি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা।'

তবে দা-ছুরি বিক্রেতা মো. জুয়েল জানান, 'কোরবানি ঈদ এলেই ব্যস্ততা বেশি থাকে। তবে এখনও ঈদের বাকি আরও কয়েকদিন। তাই ক্রেতার চাপ একটু কম। সবাই গরু কেনাকাটায় ব্যস্ত। এরপর দা-ছুরিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ভীড় বাড়বে। তবে ভীড় এড়াতে কেউ কেউ এখনই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।'

এদিকে ইব্রাহিম শেখ নামের এক ক্রেতা একটি চাপাতি ও ছুরি কিনেছেন। তিনি বলেন, 'ঈদের বাকি আরও কয়েকদিন। কিন্তু পরে যেন বাড়তি ঝামেলা পোহাতে না হয় তাই কিনে ফেললাম।’

গতবারের তুলনায় দাম বেশি না কম জানতে চাইলে দা-ছুরি বিক্রেতা বলেন, 'কয়লা, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এজন্য গতবারের তুলনায় এবার একটু দাম বেশি।'

তিনি আরও বলেন, 'রাজধানীতে ছুরি ও চাপাতি মূলত মৌসুমি কসাইরাই বেশি কিনে থাকেন। অনেকে শখের বশে কেনেন। কারণ রাজধানীর কোরবানির পশুর কাটাকাটি মূলত কসাইরাই করে থাকে। তবে যিনি কোরবানী দেন তিনিও তাদের সহায়তা করেন।'


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮আগষ্ট ২০১৯/মামুন খান/জেনিস

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়