কারাগারে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন আইনজীবী পলাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : পঞ্চগড়ে কারা হেফাজতে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করার অভিযোগে আটক আইনজীবী পলাশকুমার রায়। বুধবার হাইকোর্টে দেওয়া বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবীর দাবি, সুচিকিৎসা পেলে অগ্নিদগ্ধ পলাশ কুমারকে বাচাঁনো যেত। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষের গড়িমসি ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে সময়মত চিকিৎসা না করায় তার মৃত্যু হয়।
আইনজীবী সুমন জানান, অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা লেগেছে তার চিকিৎসা শুরু করতে। এ পুরো সময়টা তাকে এ কারাগার থেকে ওই কারাগারে টানা হেচরা করা হয় এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয় কারাকর্তৃপক্ষ।
তার দাবি হাইকোর্ট বলেছেন যে, যদি দ্রুততম সময়ে আইনজীবী পলাশের চিকিৎসা শুরু করা যেতো তাহলে সে বাঁচতো কিনা সেটি নিশ্চিত না কিন্ত কারাকর্তৃপক্ষের উচিত ছিল তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করা। আগে চিকিৎসা পরে দাপ্তরিক কাজ।
তদন্ত প্রতিবেদনে পঞ্চগড় জেলা কারাগারের নানা অনিয়মও উঠে এসেছে বলে রিটকারী আইনজীবী জানান। এসব অনিয়মের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা মহাপরিদর্শককে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত। ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের দিন ঠিক করেছেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো.বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
চলতি বছরের ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটুক্তি করার অভিযোগে আইনজীবী পলাশ কুমার রায়কে আটক করে পঞ্চগড় পুলিশ। ২৬ মার্চ তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এর এক মাস পর ২৬ এপ্রিল কারা হাসপাতালে বাথ রুমে অগ্নিদগ্ধ হন পলাশ। এরপর ৩০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যু হয় পলাশের। ৮ জুন এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সাইয়েদুল হক সুমনের দায়ের করা রিটের প্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ আগস্ট ২০১৯/মেহেদী/বুলাকী
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন