কালশী প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৪০০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ৬১২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একনেক প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। সম্প্রতি সেখান থেকে ব্যয় বাড়িয়ে এখন প্রস্তাব করা হবে ১ হাজার ১২ কোটি ১১ লাখ ৬ হাজার টাকায়। যা প্রায় ৪০০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বেশি। 

পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় থেকে জানা গেছে আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটির নতুন বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বাস্তবায়নের দায়িত্তে থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানায়, নির্মাণসামগ্রীর দর বৃদ্ধি, ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়া, কাজের পরিমাণ বৃদ্ধিসহ আরো কিছু কারণে প্রকল্পতিতে ব্যয় বৃদ্ধি করে সংশোধন আনতে হয়েছে। এছাড়া পরামর্শক খাতেও ব্যয় বাড়াতে হচ্ছে।

প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে কেবল পরামর্শক খাতেই ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ কোটি টাকা। এখন সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।

প্রকল্পটির কার্যপত্রে দেখা গেছে, কাজের জন্য মোট ১৩ দশমিক ২৭৫৫ একর জমি অধিগ্রহণ করার পাশাপাশি সেখানে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করতে হবে। ৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ করা হবে। ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ইন্টারসেকশনে প্রবেশের আগে জায়গার স্বল্পতার কারণে বাস-বে না করে বাস স্টপেজের ব্যবস্থা রাখা, মনিটরিংয়ের জন্য সিসি টিভি কন্ট্রোলরুম নির্মাণ করা। এ ছাড়া নলেজিয়াম স্কুলের কাছে ফুটওভার ব্রিজ করা।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ থেকে বলেছেন, প্রকল্পের খাতওয়ারি ব্যয় অনেক বেশি। এসব ব্যয় সঠিকভাবে নিরূপণ করা হলে প্রকল্পের ব্যয় অনেক কমে যেত। আর বাড়তি অর্থ দিয়ে নতুন করে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া যেত। প্রকল্প অনুমোদনের সময় একটি শিডিউল রেট দিয়ে করা হয়। এরপরই যুক্তি দেয়া হয় নতুন রেট শিডিউল ও দর বৃদ্ধির। তাই এখনই যদি এসব নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে কখনোই নির্ধারিত খরচে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে না।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ আগস্ট ২০১৯/হাসিবুল/নবীন হোসেন