কিন্ডারগার্টেন স্কুলে রোবট শিক্ষক!
আহমেদ শরীফ : দেখতে নাদুস নুদুস, মায়াবী চেহারার এক ধরনের রোবট এখন চীনের কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক হিসেবে কাজ করছে। শিশুদের গল্প বলা, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করাই এই রোবটের কাজ।
দেখতে কিউট এই রোবট মাত্র ৬০ সেন্টিমিটার লম্বা। ছোট্ট চাকার মাধ্যমে ঘুরে বেড়ায় সে, একটি বড় স্ক্রিন তার চেহারা হিসেবে কাজ করে। ‘কিকো’ নামের এই রোবট শিক্ষকের দাম ১,৫০০ ডলার, যা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকদের মাসিক বেতন।
মায়াবী এই রোবটগুলো চীনের ৬০০ কিন্ডারগার্টেনে কাজ করছে এখন। খুব শিগগিরই চীনের অন্য সব কিন্ডারগার্টেনে এসব রোবট শিক্ষকতা শুরু করবে। এছাড়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্য সব দেশেও এই রোবট পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা করছে চীন।
শিশুরা যখন কোনো প্রশ্ন সঠিকভাবে করতে পারে অথবা ওই রোবটের কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়, তখন রোবটের চোখে লাভ সাইন ফুটে উঠে। অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই রোবট শিক্ষককে মানুষের চেয়ে কিছুটা দুর্বল মনে করলেও তাদেরকে মানুষের চেয়ে বেশি নির্ভরশীল বলেই রায় দিয়েছেন।
এই রোবটে থাকা ক্যামেরা তাদের সেন্সর হিসেবে যেমন কাজ করে, তেমনি ভিডিও জার্নালও রেকর্ড করতে পারে।
রোবট শিক্ষক অবশ্য এই প্রথমবারই দেখা যায়নি। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০১০ সালে ইংরেজি শেখানোর জন্য স্কুলে রোবট শিক্ষক ব্যবহার করা হয়েছিল।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গড়ে তুলতে ‘মেড ইন চায়না ২০২৫’ প্রকল্পের আওতায় প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করেছে চীন। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন রোবটসের এক জরিপে বলা হয়েছে, উৎপাদন কাজে রোবট ব্যবহারে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে চীন। দেশটিতে ম্যানুফ্যাকচারিং এবং অটোমোটিভ খাতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ইউনিট রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া গতবছর চীনে সার্ভিস রোবটের বাজার ছিল ১.৩২ বিলিয়ন ডলারের।
তথ্যসূত্র : সি নেট
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ আগস্ট ২০১৮/ফিরোজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন