ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে চিকিৎসাসেবা নিয়ে রোগীরা চিন্তিত

রুমন চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কিশোরগঞ্জে চিকিৎসাসেবা নিয়ে রোগীরা চিন্তিত

কিশোরগঞ্জে প্রতিদিনই জ্যামিতিক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঘটনা। আক্রান্তের তালিকা দীর্ঘ হওয়ায় ইতোমধ‌্যেই এ জেলাকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ‌্য অধিদপ্তর। আক্রান্তদের অধিকাংশই চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ‌্যকর্মী। তাই চিকিৎসাসেবা নিয়ে চিন্তিত সাধারণ রোগীরা।

জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪৮ জন ডাক্তারসহ মোট আক্রান্তের শতাধিক ব‌্যক্তিই স্বাস্থ্য বিভাগের। তাই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মাঝে আতঙ্ক বাড়ছে।

করোনাভাইরাসের কারণে বেশকিছু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় বন্ধই ছিল। বর্তমানে সেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ‌্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। সেদিকে লক্ষ‌্য রেখে সাধারণ রোগীদের সুষ্ঠু চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে স্বাস্থ‌্য বিভাগ।

রোববার (২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত এ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭৬ জনের। জেলায় সর্বশেষ পাওয়া নমুনা পরীক্ষা রিপোর্টে নতুন করে একজনের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। তিনিও একজন গাইনী চিকিৎসক।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মনে করছেন, করোনা উপসর্গ গোপন রেখে চিকিৎসা নিতে আসায় এবং চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জেলার বাইরে থেকে আসা লোকজন উপসর্গ গোপন রেখে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখান থেকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। তাছাড়া মৃত ব‌্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়েও সংক্রমণের শিকার হন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন রাইজিংবিডিকে জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ও প্রবাসীরা কিশোরগঞ্জে ফিরেছেন। এতে পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এদের মধ্যে নানা অসুখে আক্রান্তরা উপসর্গ গোপন করে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের সংস্পর্শে যাওয়া চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন ও হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জের করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কারণে এ জেলায় করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঘটেছে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ কর্মকর্তা ‍পুলিশ সদস‌্য ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ জেলায় মোট ১৭৬ জন করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন।’

সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবার ব‌্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে সমস‌্যা হলেও এখন আর তেমন সমস‌্যা হচ্ছে না। চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা যেন সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেন, পুরো জেলাতে সে ব‌্যবস্থা রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র করোনা রোগীদের আইসোলেশন ও নমুনা সংগ্রহের জন‌্য করোনা হাসপাতাল হিসেবে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালকে ব‌্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয‌্যা জেনারেল হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।’


রুমন চক্রবর্তী/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়