‘কুমিল্লা বৌদ্ধ ট্যুরিজম সার্কিটের আওতায় আনা হবে’

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের বৌদ্ধ ট্যুরিজম সার্কিটের অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে কুমিল্লার প্রত্মতাত্ত্বিক এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিমসটেক এর মহাসচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার কুমিল্লার ময়নামতি ও লালমাই পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন প্রত্ম-পর্যটন স্পটসমূহ পরিদর্শন করেন তিনি। সপ্তম-অষ্টম শতকে কুমিল্লায় গড়ে ওঠা বৌদ্ধ ধর্মীয় বিভিন্ন নিদর্শন ঘুরে দেখেন। কোটবাড়ীর শালবন বিহার, রূপবান মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, ওয়ার সিমেট্রি, রাণী ময়নামতির প্রাসাদ, সংগীতজ্ঞ শচীনদেব বর্মণের বাড়িতে যান বিমসটেক মহাসচিব।

এ সময় প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান, ‘ঐতিহ্য কুমিল্লা’র পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ময়নামতি জাদুঘরের কাষ্টোডিয়ান হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আন্ত:আঞ্চলিক  ট্যুরিজম সার্কিট গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে বিমসটেক। সে লক্ষ্যে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের বৌদ্ধ ট্যুরিজম সার্কিটের অন্তর্ভুক্ত করতে কুমিল্লার প্রত্মতাত্ত্বিক এলাকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রসঙ্গত, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) ১৯৯৭ সালের ৬ জুন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর সদস্যভুক্ত দেশ হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান। ২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিমসটেক এর সদরদপ্তর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


কুমিল্লা/জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল/সাইফ