ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

বাদশাহ সৈকত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৮, ২১ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

তবে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, আমাশয়, জ্বরসহ পানিবাহিত রোগ। দুর্গম চরাঞ্চলে এ পরিস্থিতি আরো খারাপ।

এ অবস্থায় ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার পরিবার ১০ থেকে ১২ দিন নৌকায় বসবাস করছে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে দুর্ভোগে পড়েছে তারা।

চিলমারী উপজেলার কাচকোল-বেপারীর হাট বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়া চিলমারী উপজেলা শহরের রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি, অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনা এখনো তলিয়ে আছে।

চিলমারী উপজেলার সাংবাদিক গোলাম মাহাবুব রহমান জানান, নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়া পানি কমছে না। এখনো চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা পরিষদ, থানাসহ রাস্তা-ঘাটে হাঁটু পানি রয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি ভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা জেলার ৯ উপজেলায় ৮ লক্ষাধিক মানুষের জন্য অপ্রতুল। জেলা প্রশাসন থেকে এ পর্যন্ত ৮০০ মেট্রিক টন চাল, ৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগেও স্বপ্ল পরিসরে শুরু হয়েছে ত্রাণ তৎপরতা। কিন্তু বেশির ভাগ বানভাসী মানুষের ভাগ্যে জুটছে না তা।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনো চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/২১ জুলাই ২০১৯/বাদশাহ সৈকত/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়