ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কেউ রাখে না তাদের খবর

কাঞ্চন কুমার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৭, ২৪ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কেউ রাখে না তাদের খবর

কুষ্টিয়ায় স্থানীয় দৈনিক সংবাদপত্রিকা আছে ৩৭টি। এছাড়াও ২০টি সাপ্তাহিক পত্রিকা ও তিনটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয় কুষ্টিয়া থেকে। সবমিলিয়ে এ জেলা থেকে নিয়মিত ৬০টি পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে।

কুষ্টিয়ায় পত্রিকার গুরুত্ব থাকলেও নাগরিকদের হাতে হাতে এসব পত্রিকা পৌঁছে দেওয়া পরিবেশকদের গুরুত্ব তেমন নেই। দেশের ক্রান্তিকালে এই পত্রিকা পরিবেশকদের খোঁজ কেউ রাখছে না।

করোনাভাইরাস প্রার্দুভাবে কার্যত অচল কুষ্টিয়া জেলা। পত্রিকা বের হচ্ছে না। এই বাস্তবতায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাদের। বর্তমানে আশিভাগ পত্রিকার পরিবেশক খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে।

প্রবীণ পত্রিকা পরিবেশক রবিউল ইসলাম রবি জানান, তিনি শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে পত্রিকা বিতরণ করেন। প্রতিদিন তার দুইশ পত্রিকা বিক্রি হতো। বর্তমানে পত্রিকা বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন কর্মহীন, বেকার। তাই উপার্জনও নেই। ঘরে অভাব।

কুমারখালীর পত্রিকা পরিবেশক দৃষ্টি প্রতিবন্দী রতন কুমার বলেন, ‘আমার এলাকায় মাসে তিনশো পত্রিকা বিক্রি হতো। মাসে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো উপর্জন। কিন্তু এ মাসে আয় নাই। আমরা মানুষের কষ্টের কথা সবাইকে জানাতে ছুটে চলি। কিন্তু আমার কষ্টের কথা শোনার মানুষ নেই।’

কুষ্টিয়ার দি টিচার পত্রিকার সম্পাদক শরীফ বিশ্বাস বলেন, ‘এজেলায় থেকে ৬০টি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। বর্তমানে পত্রিকা বিক্রি বন্ধ হওয়ায় পরিবেশকরা পরিবার নিয়ে চরম কষ্টে আছে। তাদের সাহায্যে সহযোগীতা করা প্রয়োজন।’

কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিল থেকে পরিবেশকদের কিছু ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। তবে তা যথেষ্ট নয়। এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে পত্রিকা পরিবেশকদের জন‌্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে।’

 

কাঞ্চন/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়