ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কেন ইর্‌ফান খান বলিউডের সেরা অভিনেতা?

মুম রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১২, ২ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কেন ইর্‌ফান খান বলিউডের সেরা অভিনেতা?

বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যথার্থ অর্থেই খতরনক জায়গা! ভালো অভিনেতাকে এখানে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। অচেনা অভিনেতার জন্য বলিউড কখনোই আরামের পথ তৈরি করে রাখেনি। কথাটা একটু পরিষ্কার হবে আজকের অনেক সুপারস্টারের উত্থান দেখলেই। স্বয়ং অমিতাভ বচ্চনকে বলিউডের বহুকালের টিপিক্যাল ইমেজের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। তিনি অতিরিক্ত ঢ্যাঙ্গা, কণ্ঠস্বর বড় বেশি ভারী, দেখতে তেমন সুদর্শন নন— এগুলোর সঙ্গে তীব্র লড়াই করেই আজ বলিউডের সেরা অভিনেতা হয়েছেন তিনি। তবে লড়াইটা যাই হোক, নায়ক হিসেবেই তার যাত্রা শুরু। আর এই যাত্রাটা মসৃণ হয়ে যায় যদি সে নায়কের শুরুর ফিল্ম বা সূচনালগ্নের একটা ফিল্ম হিট হয়ে যায়।

বলিউড এ কারণেই ভয়াবহ যে, অধিকাংশ সময়ই এখানে অভিনয়ের জোরে সিনেমা হিট হয় না। একজন আমির খান ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ কিংবা সালমান খান ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ সিনেমায় এমন কোনো আহামরী অভিনয় করেননি; যার জোরে তারা বলিউডের সুপারস্টার হতে পারেন। দুজনই চকলেট বয়, দারুণ সুদর্শন, জন্মগতভাবেই নায়কোচিত ললিপপ চেহারা (বলিউডি বিবেচনায়) নিয়েই ফিল্মে এসেছেন। সেইসঙ্গে দুজনেরই ছিলো পিতৃ পরিচয়ের জোরালো ভিত্তি। এটা ঠিক পরবর্তী সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে গিয়ে তাদের অভিনয়টা আয়ত্ব করতে হয়েছে। স্বয়ং অমিতাভ বচ্চনের পুত্র অভিষেক বচ্চনকেও অভিনয় আয়ত্ব করেই নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছে। তবে এটাও ঠিক, পিতৃ পরিচয় বা পারিবারিক পরিচয় একজন নবাগতকে ভবিষ্যতের বলিউড তারকা হওয়ার পথ অনেকটাই সহজ করে দেয়। অবশ্যই একজন জিতেন্দ্র কিংবা ধর্মেন্দ্রর সন্তানের শুরুটা অনেকটাই স্ট্রাগলবিহীন হলেও আখেরে তাদের টিকে থাকতে হলে নিজের জোরটা বাড়াতেই হয়।

কিন্তু একজন ইর্‌ফান খানের মতো অভিনেতাকে বহু সংগ্রাম করে বলিউডে জায়গা করে নিতে হয়। কথিত নায়োকোচিত চেহারা নেই, পেশীবহুল শরীর নেই, নেই নাচ-গানের প্রশিক্ষণ। তবুও ইর্‌ফান খান চকলেট বয় চেহারা ছাড়া এবং পারিবারিক সংযোগ ছাড়া বলিউড ছাড়িয়ে হলিউডে নিজেকে দৃঢ় করে ফেলেন। এই ‘করে ফেলেন’ ব্যাপারটা বলে ফেলা যতো সহজ করে ফেলা ততো সহজ নয়। এ বিষয়ে বলিউডি প্রতিকূলতার বিরাট তালিকা দেওয়া যায়। সেটি অবশ্য এ লেখার উদ্দেশ্য নয়। এই গৌরচন্দ্রিকার মূল কথাটি হলো এই, একজন ইর্‌ফান খান এককভাবে লড়াই করেই বলিউড, হলিউড ছাড়িয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই লড়াইয়ে তার প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত অভিনয়ই ছিলো আসল শক্তি। এখানে একটু বলে রাখা দরকার, ইর্‌ফান খান সেই অভিনেতা যিনি ‘বলিউড’ শব্দটা নিয়েই আপত্তি তুলেছিলেন। ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকার (২৫ জুলাই, ২০১৩ সালে) নোশিন ইকবালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সব সময় ‘বলিউড’ শব্দটার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছি। এই ইন্ডাস্ট্রির ধরনটা আলাদা... হলিউডের সঙ্গে এর অনুকরণের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং এটা পার্র্সি থিয়েটার থেকে উদ্ভূত। হলিউড খুব বেশি পরিকল্পিত। ইন্ডিয়ার সে অর্থে কোনো পরিকল্পনাই নেই। এটা অনেক বেশি স্বতঃস্ফূর্ত এবং অনানুষ্ঠানিক। ইন্ডিয়া আরো আনুষ্ঠানিক হতে পারে আর হলিউড পারে আরো স্বতঃস্ফূর্ত হতে।

মকবুল সিনেমার দৃশ্যে ইর্‌ফান খান

এই মন্তব্য দ্বারাই বোঝা যায় বলিউড এবং হলিউডের চলচ্চিত্র ধারাটি ইর্‌ফান খুব ভালোভাবেই বুঝতেন। দুটো ইন্ডাস্ট্রির মৌলিক বিশ্লেষণ করতে পেরেছিলেন একজন চলচ্চিত্র তাত্ত্বিকের মতো করেই। এ মন্তব্য থেকে আরো একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য, বলিউডের বৈশিষ্ট্য বুঝতেন বলেই তিনি বলিউডকে ভাঙতে পেরেছিলেন। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, বলিউডের চলচ্চিত্র এক মিশ্র শিল্প ভাণ্ডার। পার্র্সি থিয়েটারের মতোই তা জাঁকজমকপূর্ণ, নাচে-গানে-পোশাকে ভরপুর। চলচ্চিত্রতাত্ত্বিকগণ বলিউডি চলচ্চিত্রকে তাই ‘মসালা মুভি’ বলে থাকেন। ভারতীয় খাদ্য সংস্কৃতির মতোই বলিউডি সিনেমায় আমরা বিবিধ মসলার উপাদান পাই। একটা পোশাকি, জৌলুসের কারণেই বলিউডি ছবি বরাবরই চকচকে, রঙচড়া, প্রচুর মসলাদার। এর প্রভাবটা অভিনয়েও পড়েছে। পার্সি থিয়েটারের মতোই উচ্চকিত আর স্টেরিওটাইপ চরিত্রায়নের প্রভাব সেখানে দেখা যায়। একজন শাহরুখ খানের মতো উঁচুদরের অভিনেতাও একটা নিজস্ব ম্যানারিজম আর মুভমেন্ট তৈরে করে চলেন। সেই দেবানন্দ, শাম্মী কাপুর থেকে শুরু করে সানি দেওল, সঞ্জয় দত্ত হয়ে আজকের অনেক জনপ্রিয় নায়কদেরই রয়েছে নিজস্ব ম্যানারিজম। চরিত্র যাই হোক, তারা নিজের তৈরি স্টাইল থেকে বের হন না। একজন ব্যতিক্রম আমির খানকে বাদ দিলে খান ত্রয়ীর নির্দিষ্ট বলয়ের বাইরেই ইর্‌ফান খান নিজস্ব আধিপত্য বিস্তার করেছেন।

বলা দরকার, তার এই আধিপত্য বিস্তারের উৎপত্তি তার নাট্যশিক্ষা থেকেই। এনএসডি (ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা) থেকে অভিনয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া ইর্‌ফান খান সুনিশ্চিতভাবেই স্তানিস্লাভস্কির মেথড অ্যাক্টিং আয়ত্ত্ব করেছেন। রুশ নাট্য পরিচালক, তাত্ত্বিক, অভিনেতা কনসতানতিন স্তানিস্লাভস্কি এমন এক অভিনয় পদ্ধতি আবিষ্কার করেন যা অভিনেতা আর তার চরিত্রকে একাত্ম হতে সাহায্য করে একটা সুনির্দিষ্ট মেথডের মাধ্যমেই। ভারতীয় তথা প্রাচ্যদেশীয় থিয়েটার এবং সিনেমাতে একটা স্টাইলাইজড অভিনয় রীতি ব্যবহৃত হলেও আধুনিক পাশ্চাত্য থিয়েটার এবং সিনেমায় স্তানিস্লাভস্কির অভিনয় পদ্ধতির ব্যবহার মার্গে পৌঁছেছে অনেক আগেই। বলিউডের প্রায় সকল বিখ্যাত নায়ক ও অভিনেতারাই চলচ্চিত্রেও একটা স্টাইলাইড অভিনয় করেছেন। ইর্‌ফান খান সেই বিবেচনায় প্রথম নায়ক যিনি চরিত্রের সাথে, গল্পের সাথে নিজেকে বারবার বদলেছেন। একজন রাজেশ খান্না কিংবা মিঠুন চক্রবর্তী নয়, ইর্‌ফান খানকে বরং বলা যায় একজন মার্লোন ব্রান্ডো, আল পাচিনো কিংবা ডাস্টিন হফম্যানের উত্তরসূরী।

বলিউডের সঙ্গে তুলনা করলে ইর্‌ফান খানকে বরং বলরাজ সাহানী, পঙ্কজ কাপুর, ওম পুরী, নাসিরুদ্দিন শাহদের উত্তরসূরী বলা যায়। উল্লেখ্য এই পূর্বসুরীরাও মেথড অ্যাক্টিং করেছেন এবং ব্যক্তি ইমেজ ভেঙে চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন। ব্যক্তি ও চরিত্রের সংশ্লেষ ও বিশ্লেষ থেকেই একজন নায়ক আর চরিত্রের মিল ও ফারাক সৃষ্টি হয়। সালমান খান, শাহরুখ খান কম-বেশি সব ছবিতেই নিজস্ব ইমেজ ধরে রাখেন। চরিত্রের প্রয়োজনেও তারা তাদের নায়োকচিত ভঙ্গি ত্যাগ করেন না। অন্যত্র মেথড অভিনেতা চরিত্রায়ণে তার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যকে প্রাধান্য দেন না। মেথড অভিনেতা প্রত্যেক চরিত্র অনুযায়ী নিজস্ব স্বরভঙ্গি, দেহভঙ্গি নির্মাণ করেন। ফলে পর্দায় আমরা একজন ইর্‌ফান খানকে নয়, দেখি তার অভিনীত চরিত্রকে।

পান সিং তোমার সিনেমার দৃশ্যে ইর্‌ফান খান

এখানেই ইর্‌ফান খান বলিউডি মসালা মুভিতেও নিজেকে আলাদা করে ফেলেন। উদাহরণ হিসেবে দুটো টাইটেল চরিত্রের কথা বলা যায়। ‘মকবুল’ (২০০৪) আর ‘পান সিং তোমার’ (২০১১)— এই দুটো চলচ্চিত্রেই তিনি নাম চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শেকসপিয়রের ম্যাকবেথ ভেঙে পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ ভারতীয় মাফিয়া সাম্রাজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি করেছেন ‘মকবুল’। অন্যদিকে আর্মির অ্যাথলেট, পরবর্তী সময়ে ডাকাত হয়ে যাওয়া পান সিং-এর জীবনী ভেঙে তিগমানশু ধলিয়া তৈরি করেছেন ‘পান সিং তোমার’। এটা জানা কথাই যে, মকবুল আর পান সিং দু’জন আলাদা মানুষ, দুজনের জগত, জীবন সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু এই সাধারণ জানা কথাটিই ফর্মুলা মেনে তৈরি করা আড়াই-তিন ঘণ্টার বলিউডি মসালা ছবিতে মানা না-ও হতে পারে। প্রতিপাদ্য পর্যবেক্ষণটি হলো, আপনি যদি পরপর ‘মকবুল’ এবং ‘পান সিং তোমার’ সিনেমা দুটো দেখেন, দুটো ছবির নায়ক ইর্‌ফান খান হলেও আপনি দুজন আলাদা মানুষকেই দেখতে পাবেন। অর্থাৎ পর্দায় ইর্‌ফান খান নয়, আপনি মকবুল আর পান সিং তোমারকেই দেখতে পাবেন।

আরেকটি পর্যবেক্ষণ করার মতো বিষয় হলো, প্রচলিত অর্থে পান সিং কিংবা মকবুল ভালো মানুষের কাতারে পড়ে না। একজন পান সিং যে আর্মি; একজন আন্তর্জাতিক মানের অ্যাথলেট, তিনি পরবর্তী জীবনে চম্বলের দুর্ধর্ষ ডাকাত হয়ে ওঠেন। অন্যদিকে মাফিয়া ডন জাহাঙ্গীর খানকে হত্যা করে তার সাম্রাজ্য দখল নিতে চায় তারই এক সময়ের ডান হাত মকবুল। কোনোভাবেই মকবুল আর পান সিংকে ভালোবাসার সুযোগ নেই। ইর্‌ফান খান এই দুটো আপাত নেগেটিভ চরিত্রকে ভীষণ পজিটিভ এনার্জিতে চিত্রায়ণ করেন, ফলে আমরা অনিবার্যভাবেই চরিত্র দুটোকে ভালোবেসে ফেলি। মকবুল এবং পান সিং তোমর চরিত্রদ্বয়ের মৃত্যু আমাদের কাঁদায়। একজন উঁচু দরের অভিনেতা হিসাবে ইর্‌ফান সূক্ষ্মতম বিবিধ অভিব্যক্তি দিয়ে আমাদের বুঝিয়ে দেন, জগতে একচেটিয়া ভালো মানুষ বা খারাপ মানুষ বলে কিছু নেই। একজন কথিত ভালো মানুষের মধ্যে খারাপ মানুষ লুকিয়ে থাকে, আবার উল্টোটাও ঘটে। বলা যায় যে, ইর্‌ফান এই ভালো মন্দের দ্বন্দ্বটুকু জানেন বলেই তার অভিনীত চরিত্রগুলো একতরফা হয় না, মোটা দাগের চিত্রায়ণ হয়।

‘মাদারী’ (২০১৬) চলচ্চিত্রে নির্মল একজন কিডনাপার, ছোট্ট বাচ্চাকে সে বন্দি করে, অথচ এই নির্মলের প্রতি আমাদের সহানুভূতি তৈরি হয়। সেই সহানুভূতি কেবল চিত্রনাট্য বা গল্পের কারণে নয়, ইর্‌ফানের মানবিক অভিনয়ের কারণেই। ইর্‌ফান খানের অভিনয়ের অন্যতম একটি গুণ এই মানবিকতা। নিজের অভিনীত প্রতিটি চরিত্রের মধ্যেই তিনি মানবিক দোষ-গুণ আরোপ করেন। হিন্দি মিডিয়াম (২০১৭) এবং আংরেজি মিডিয়াম (২০২০) দুটো ছবিতেই ইর্‌ফান কন্যা সন্তানের পিতা এবং সন্তানের শিক্ষার জন্য নিবেদিত। আপাত কমিক এই দুই বাবা চরিত্রের আড়ালে ইর্‌ফান এক চিরন্তন দরদি পিতাকেই লুকিয়ে রাখেন। ওস্তাদ চিত্রকর যেমন তার ছবিতে আঁকা মানুষের মুখের আড়ালে রক্ত সঞ্চালনের ছাপ রেখে যান তেমনি ইর্‌ফান একজন ওস্তাদ অভিনেতার মতো চরিত্রের ভেতরের আবেগ-অনুভূতিকে চিত্রায়িত করেন পূর্ণ দক্ষতায়। তার অভিনীত চরিত্ররাও তাই আমাদের কাছে রক্ত-মাংসের মানুষ হয়ে ওঠে।

ইর্‌ফান খানের চোখের অভিব্যক্তি এক কথায় অনবদ্য

‘মাদারী’, ‘কিসসা’ (২০১৩)  এবং ‘দ্য নেইমশেক’ (২০০৬) ইত্যাদি ছবিতেও ইর্‌ফান পিতৃপুরুষ হিসেবেই আবির্ভূত হন, কিন্তু প্রত্যেকটি চরিত্র ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে চিত্রায়িত হয়। ‘দ্য লাঞ্চ বক্স’ (২০১৩), ‘জজবা’ (২০১৫), ‘পিকু’ (২০১৫) ইত্যাদি চরিত্রেও ইর্‌ফান খানকে আমরা আবিষ্কার করি প্রেমিক হিসেবে। জজবা’র যোহান আর পিকুর রানা উভয়েই ভালোবাসার কথা বলার মতো তেমন পরিস্থিতি পায় না, অথচ একাধিক দৃশ্যেই প্রেমিকার প্রতি মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে চোখে চোখেই। ‘দ্য লাঞ্চ বক্স’-এর সাজন ফার্নান্দেজ প্রেমে পড়ে যান ভুল করে পাঠানো ইলার খাবারের প্রতি। অদেখা, অজানা এক নারী যার রান্না করা খাবার তার লাঞ্চ বক্সে চলে আসে, সেই নারীর প্রতি মুগ্ধতা এবং তাকে খোঁজার প্রেমময় আকুতি দেখতে পাই ইর্‌ফানের চোখে। একাধিক সমালোচক উল্লেখ করেছেন, ইর্‌ফান খানের চোখের অভিব্যক্তি এক কথায় অনবদ্য। তিনি কেবল চোখ দিয়ে অনেক সূক্ষ্ম অনুভূতি চিত্রায়িত করেন। ‘লর্ড অব দ্য রিংস’ চলচ্চিত্রমালার অন্যতম অভিনেতা ডোমিনিক মোনাগান একদা বলেছিলেন ‘টেলিভিশন হলো মুখের অভিনয় আর চলচ্চিত্র হলো চোখের অভিনয়’। চলচ্চিত্রের বড় পর্দা চোখের সূক্ষ্ম অনুভূতিকে কতো জোড়ালো করে তুলে ধরতে পারে ইর্‌ফান খানের যে কোনো চরিত্র দেখলেই বোঝা যায়।

শেষটা করতে চাই, ‘লাইফ অব পাই’ চলচ্চিত্রে পরিণতকালে পাই চরিত্রের অভিনেতা ইর্‌ফানের সংলাপ দিয়ে, ‘‘আমি মনে করি শেষতক পুরো জীবনটাই একটা যেতে দাও-এর কার্যক্রম। কিন্তু সবসময় যেটা বেশি করে আঘাত করে তা হলো ‘শুভ বিদায়’ বলার ফুসরত না পাওয়া।’’

 

ঢাকা/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়