ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কোটি টাকার পোষা প্রাণী (শেষ পর্ব)

শাহিদুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৩৬, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কোটি টাকার পোষা প্রাণী (শেষ পর্ব)

শাহিদুল ইসলাম : প্রতিটি মানুষেরই শখ থাকে। অনেকের শখ প্রাণী পোষা। যারা শখ করে প্রাণী পুষে তাদের কাছে দাম কোনো ব্যাপারই নয়।

শখের বশে তারা কিছু কিছু প্রাণী এমন সব দামে কিনে নেয় যা শুনলে সত্যিই অবাক হতে হয়।

সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১৫টি পোষা প্রাণী নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে ৮টি দামি পোষা প্রাণীর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল। আজ শেষ পর্বে থাকছে বাকি ৭টি প্রাণীর তথ্য।

ল্যাভেনডার অ্যালবিনো বল পাইথন : সাদা সিংহের মতো ল্যাভেনডার অ্যালবিনো বল পাইথন পৃথিবীর অন্যতম দুর্লভ প্রাণী। হলুদ ও সাদার ডোরাকাটা লাল চোখের এই অজগর সাপকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অত্যন্ত আকর্ষণীয় হওয়ার কারণে পোষা প্রাণী হিসেবে এর চাহিদাও ব্যাপক। আনুমানিক মূল্য ৪০ হাজার ডলার।

 


পাম কাকাতু : পাম কাকাতু গোলিয়াথ কাকাতু নামেও পরিচিত। মাথার ঝুটি, লম্বা বাঁকানো ঠোঁট, চোখের ঠিক নিচ বরাবর বড় লাল গাল পাখিটির আকর্ষণ বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে পাখিটির অন্য একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি যখন কোনো কারণে উত্তেজিত হয়ে উঠে তখন গালের রঙ বদলায়। অনেক বিখ্যাত মানুষকে পোষা প্রাণী হিসেবে পাম কাকাতু প্রতিপালন করতে দেখা যায়। প্রতিটি পাম কাকাতু পাখির আনুমানিক মূল্য ১৬ হাজার ডলার।

 


হায়াসিন্থ ম্যাকাও : ম্যাকাও প্রাজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে, হায়াসিন্থ ম্যাকাও। ব্রাজিল, বলিভিয়া, প্যারাগুয়েতে এই প্রাজাতির ম্যাকাও দেখা  যায়। বাঁকানো ঠোট, সারা শরীরে উজ্জ্বল নীল এবং হলুদের মিশলে অত্যন্ত আকর্ষণীয় এই ম্যাকাও পাখির প্রতিটির আনুমানিক মূল্য ১৪ হাজার ডলার। 

 


ডি ব্রাজা বানর : ডি ব্রাজা বানর পৃথিবীর অন্যতম পুরোনো প্রজাতির বানার। এই বনার সর্বপ্রথম দেখতে পান ইতালিয়ান পেত্র স্যাভোরগনান ডি ব্রাজা। এবং তার নাম অনুসারেই এই বানরের নাম রাখা হয় ডি ব্রাজা বানর। মাথায় হলুদ ঝুটি ও বৃদ্ধ মানুষের মতো সাদা দাড়ির অধিকারী নজর কাড়া এই বানর যদি কেউ শখ করে পুষতে চায়, তবে তাকে প্রতিটি বানরের জন্য ১০ হাজার ডলার খরচ করতে হবে।

 


টাউকান : শরীরের বেশির ভাগ গাঢ় কালো রঙয়ের এবং গলার ঠিক নিচেই অনেকটা হলুদ রঙয়ের টাউকান দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, দক্ষিণ মেক্সিকো অঞ্চলে এই পাখি বেশি দেখা যায়। প্রতিটি টাউকানের আনুমানিক মূল্য ৮ হাজার ডলার।
 

 

অ্যায়াম কেমানি মুরগি : অ্যায়াম কেমানি এক বিরল প্রজাতির মুরগি। এর গোটা শরীরই শুধু কুচকুচে কালো নয়, এর মাংস পর্যন্ত কালো রঙয়ের। বিরল প্রজাতির এই মুরগি ইন্দোনেশিয়ায় দেখা যায়। অ্যায়াম কেমানিকে মুরগীকে অনেকে মজা করে ল্যাম্বুরগিনি বলে থাকে। এই প্রজাতির প্রতিটি মুরগির আনুমানিক মুল্য আড়াই হাজার ডলার। 
 

 

শিম্পাঞ্জি : জেনেটিক্যালি শিম্পাঞ্জির সঙ্গে আমাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্যের প্রায় ৯৮ শতাংশই মিল রয়েছে। শিম্পাঞ্জি খুবই বুদ্ধিমান এবং মিশুক প্রাণী। এরা দীর্ঘ দিন (প্রায় ৬০ বছর) বেঁচে থাকে এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এরা মানুষের অনুকরণে কথাও বলতে পারে। তবে পোষা প্রাণী হিসেবে শিম্পাঞ্জি পুষতে হলে অবশ্যই সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। প্রতিটি শিম্পাঞ্জির আনুমানিক মূল্য ৬০ হাজার ডলার।

 


তথ্যসূত্র: স্কুপহুপ

পড়ুন :
 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/শাহিদুল/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়