ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কোরবানি ঘিরে শানওয়ালাদের কদর

আব্দুল্লাহ আল নোমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ১০ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কোরবানি ঘিরে শানওয়ালাদের কদর

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : কাঠ দিয়ে তৈরি খাপের উপরে রয়েছে পাথর। এ খাপের মধ্যে আছে সাইকেলের মতো বসার স্থানও। সেখানে বসে প্যাডেলিং করলে ঘুরতে থাকে পাথর। আর সেই পাথরের ছোঁয়ায় ধারালো হয়ে ওঠে পুরনো ছুরি-বটি।

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এ যন্ত্র কাঁধে নিয়ে সিলেট নগরের পাড়া-মহল্লায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ শানওয়ালারা। তারা হাঁকছেন- ‘‘এই ধার করাবেন ধার। দা-চাক্কু (ছুরি) ধার’’। এমন হাঁক শুনে গৃহস্থদের মধ্যে দা-ছুরি শান দেয়ানোর তাগিদ বেড়ে যায়। ডাক দিয়ে নিয়ে আসেন বাসা-বাড়িতে। দরদামের পর ভোঁতা দা-ছুরি শান দিয়ে ধারালো করে দেন তারা।

শনিবার দুপুরে নগরীর হাওয়াপাড়ায় দেখা হয় এমনই একজন শানওয়ালার সঙ্গে। তিনি জানালেন, এখন আগের মতো তাদের কদর নেই। তবে কোরবানির ঈদের সময় তাদের আয় কিছুটা বাড়ে। একেকটি দা (বটি) শান দিয়ে তারা ৩০ থেকে ৫০ টাকা এবং চাক্কু (ছুরি) শান দিয়ে ২০ থেকে ৪০ টাকা পান। তারা দা-ছুরি ছাড়াও চাপাতি, শীলপাটাও ধার করে থাকেন বলে জানালেন তিনি।

আব্দুল মজিদ নামের এই শানওয়ালার বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায়। দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এ পেশায় রয়েছেন। তবে এখন এ পেশায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলছেন, এখন আগের মতো আয় নেই। এ কারণে এ পেশায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।

ভ্রাম্যমাণ শানওয়ালা ছাড়াও নগরের বিভিন্ন কামারশালায় এসব দা-ছুরি শান দেয়ার কাজ করা হয়ে থাকে। একই সঙ্গে নতুন দা-ছুরিও কিনতে অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন কামারশালায়। সব মিলিয়ে কোরবানির ঈদে প্রাণ ফিরে পায় এসব পেশার মানুষ। এ কারণে এ সময়ের অপেক্ষায় থাকে তারা।


রাইজিংবিডি/সিলেট/১০ আগস্ট ২০১৯/আব্দুল্লাহ আল নোমান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়