ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘ক্যাসিনো সংষ্কৃতির শুরু বিএনপির আমলে’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ক্যাসিনো সংষ্কৃতির শুরু বিএনপির আমলে’

রাজশাহী নামে ছবি আছে, সারাবাংলা : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি সরকারের আমলে ক্যাসিনো সংষ্কৃতির শুরু। আর সে সময় এ দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক-অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। এখানে কে কোন দলের, মতের বা পথের তা দেখা হচ্ছে না। অন্যদিকে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন শীর্ষপর্যায় থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি করা হয়েছে। হাওয়া ভবন তৈরি করে প্রত্যেক ব্যবসায় ১০ পার্সেন্ট কমিশন নেয়া হতো। তারেক রহমানের ১০ বছরের সাজা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে।

ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, এই ক্যাসিনো সংষ্কৃতি বিএনপির আমলেই শুরু করা হয়েছে। সাদেক হোসেন খোকা, মীর্জা আব্বাস, মোসাদ্দেক হোসেন ফালুরা এগুলো শুরু করেছিলেন। তখন ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায় এগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিলো। তাই কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন কে কোন দলের বা মতের তা না দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সেখানে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে তদন্ত সাপেক্ষে সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে এতো দিন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ব্যবস্থা যে আগেও নেয়া হয়নি তা নয়। ব্যবস্থা আগেও নেয়া হয়েছে। এখন একেবারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।

তিনি বলেন, কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে নিউজ এসেছে, জি কে শামিম প্রতিমাসে এক কোটি টাকা করে তারেক রহমানকে দিতেন। বিএনপির অনেক নেতাকেও তিনি পয়সা দিতেন। অর্থাৎ এই যে ক্যাসিনো কালচার যারা শুরু করেছিলেন, তারাও নিয়মিত মাসোহারা পেতেন। আমরা কে কোন দলের বা মতের সেটি না দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি।

এসময় তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। তিনি বলেন, চলমান এই অভিযান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়। আওয়ামী লীগ স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন একটি দল। আমরা সব সময় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। তাই যারা বিভিন্ন ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ২০১৪ সাল থেকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার বিষয়টি অবহিত করা হলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আমি বিষয়টি প্রথম শুনলাম। অন্য কোথাও এমন নিষেধাজ্ঞা আছে কি না আমি জানি না। আমি এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। নিশ্চয় কারণটা জানতে পারব। তখন এ বিষয়টির সমাধান হবে।


রাজশাহী/তানজিমুল হক/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়