ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

খাদ্যে ভেজাল, ফলে রাসায়নিক- পরিত্রাণের উপায় কী?

মাছুম বিল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ৯ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খাদ্যে ভেজাল, ফলে রাসায়নিক- পরিত্রাণের উপায় কী?

মাছুম বিল্লাহ : সেদিন ফেসবুকে দেখলাম কাঁঠালের ওপরের অংশ কৌশলে কেটে তার মধ্যে ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে কোয়া চমৎকার হলুদ দেখানোর জন্য। আবার কাটা অংশ বসিয়ে দেয়ার পর কাঁঠালের কশ দিয়ে সুন্দরভাবে আটকে রাখা হচ্ছে জায়গাটি। দেখে বোঝার উপায় নেই। অবাক হলাম বাঙালির সৃজনশীলতা ও অভিনবত্ব দেখে। এই সৃজনশীলতা যদি ভালো কাজে লাগানো যেত তাহলে কতোই না উপকার হতো দেশের, নিজের, মানবতার। এটি যে একটি বিরাট বদভ্যাস তা খেয়ালই করছেন না সংশ্লিষ্টরা। কাঁঠাল সহজে নষ্ট হয় না, কাঁঠালের ভেতর দেখে কেউ ক্রয় করে না যে তা হলুদ দেখিয়ে বিক্রি  করতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে যে কোনো ধরনের খাদ্যে বিশেষ করে ফল, সবজিতে অবৈধ কিছু আমাদের মেশাতেই হবে একটু বাড়তি লাভের আশায়। এটি যেন জাতীয় অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।  এ কোন ধরনের ব্যবসা আর কোন ধরনের নৈতিকতা! এতো গেল জাতীয় ফল কাঁঠালের কথা। এই ঋতুর সুমিষ্ট ফল আম, লিচু, জাম, তরমুজ, আনারস  ও বারো মাসের কলা- কোনো ফলই মুক্তি পাচ্ছে না অসাধু কৃষক ও ব্যবসায়ীদের অপপ্রয়োগের হাত থেকে!

কাঁচা লিচুকে টকটকে লাল করতে, পচন রোধ করতে এবং পোকা ধরা বন্ধ করতে পানির সাথে ক্যামোমেথ্রিন ও টিডো নামের দুই ধরনের কীটনাশক ও ম্যাগনল নামের একপ্রকার হরমোন মিশিয়ে লিচুগাছে ছিটানো হয়। রঙ ধরার পর লিচু দ্রুত বড় করতে আবারও টিডো ও ম্যাগনল ছিটানো হয় গাছে। এই ওষুধযুক্ত লিচু  খেলে কিডনি ও যকৃতের ক্ষতি হয়। আমে নাকি ব্যবহার করা হয় সায়ানাইড  ফরমালিন, কারবাইড ও ইথোফেন। কলা দ্রুত পাকানোর জন্য ভাইরাস তাড়ানোর নাম করে কলাচাষিরা স্প্রের মাধ্যমে মার্শাল, হিলডন, রাইজার, বাসুডিনসহ আরো বহু ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করে। এতে পাকস্থলীতে অ্যসিডের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। পাকস্থলিতে ক্ষত থাকলে তা আরও বেড়ে যায়। আনারস প্রাকৃতিকভাবে খাবার উপযোগী হতে সময় লাগে তিন থেকে চারমাস। অথচ কিছু লোভী চাষি বিভিন্ন রাসায়নিক ছিটিয়ে দুই মাসের মধ্যে আনারস বড় করে তোলে। ইথাইনিল বা ক্যালসিয়াম কার্বাইড প্রয়োগের কারণে দুই থেকে চারদিনের মধ্যেই ফল হলুদ রঙ ধারণ করে। তারপর পাকানেরা জন্য আবার ব্যবহার করা হয় কার্বাইড। তরমুজ পাকা ও লাল দেখানোর জন্য মেশানো হয় বিপজ্জনক লাল রং এবং মিষ্টি স্যাকারিন। ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে তরমুজের বোটা দিয়ে এসব দ্রব্য পুশ করে তরমুজ পাকা ও লাল টকটকে করা হয়। বাজার থেকে তরমুজ কিনলে কাটার পর দেখা যায় অসম্ভব রকমের লাল ও বেজায় মিষ্টি। এ সবই বিষ সমতুল্য! খেজুরেও মেশানো হয় ফরমালিন ও তেল জাতীয় পদার্থ যাতে খেজুর চকচকে দেখায়। তাছাড়া  খেজুর বস্তাবন্দি করে রাখা হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে।শু ধু ফল নয়, বাজার থেকে যে কোন ধরনের সবজি কিনবেন তাতে মেশানো আছে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য। কোথায় এর সমাধান? অসহায় ক্রেতারা কোথায় যাবে? ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

কোনোভাবেই যেন ব্যবসায়ীদের নিবৃত্ত রাখা সম্ভব হচ্ছে না নকল-ভেজালের দুষ্কর্ম থেকে। আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে রাজধানীর আনাচে কানাচে গড়ে উঠছে তথাকথিত ফরমালিনমুক্ত বাজার। ভুয়া! এগুলো সবই ভুয়া। এখন ক্ষমতা থাকলে সবই করা যায়। তারাও জানে। তাই যা ইচ্ছে তাই করছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ তাদেরও রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়। অতএব এই সুযোগে টু-পাইস কামিয়ে নেবে না কেন? শুধু কি তাই, ফরমালিনমুক্ত বাজার ঘোষণা দিয়ে আবার অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে। দ্বিগুণ প্রতারণা। প্রশ্ন হচ্ছে এর শেষ কোথায়, সমাধান কি? এই অবস্থা  কি চলতেই থাকবে? দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে। উৎপাদনে এসেছে আধুনিকতা। মাঠে উৎপাদন বেড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে চাষাবাদ লাভজনক হয়ে উঠেছে। কৃষিবাজার ব্যবস্থাপনায়ও এসেছে ভিন্নতা ও নতুনত্ব। কৃষকগণ নতুন নতুন ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন আর তাই বাজারে আসছে নতুন নতুন ফসল। নতুন নতুন গবেষণা থেকে দেশের কৃষি উৎপাদনে অনেক ধনাত্মক পরিবর্তন এসেছে কিন্তু  সাথে সাথে বাড়ছে আমাদের  বিষ খাওয়ার পরিমাণ আর অঙ্গহানি ও ক্ষতির দিকটিও।

আসলে খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। তারপরেও আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জীবনরক্ষাকারী খাদ্যদ্রব্যে  কেন সেসব মেশানো হচ্ছে? আমাদের জাতীয় সুস্বাদু ফল, তাজা সবজিতে কেন মেশানো হয় এসব? অবস্থাদৃষ্টে নিম্নলিখিত কারণগুলোকে এজন দায়ী করা যেতে পারে। এক. নৈতিকতার চরম অধঃপতন যখন একটি সমাজে নেমে আসে তখন এ ধরনের জঘন্য অপরাধ সংগঠন করার জন্য দলে দলে মানুষ এসব কাজে সামিল হয়। আমাদের শিক্ষা, সমাজ ব্যবস্থা কোনটিতে নৈতিকতার কোন বিষয় সেভাবে নেই। দুই. রাজনৈতিক আচরণ, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন। রাজনীতিতে ভাল খারাপ দু ধরনের লোকই আছে এবং থাকে। কিন্তু খারাপ লোকের প্রভাব এত বেশি থাকে যে, ভালোরা কোণঠাসা অবস্থায় থাকে। ফলে রাজনীতির দৃর্বৃত্তায়ন হয়। আর তখন হেন কোন অপরাধ নেই যা জনজীবেন  ও সমাজে সংগঠিত হয় না। তিন. বিচারহীনতা। সঠিক বিচার না পাওয়া, অবহেলিতদের বিচার বঞ্চিত রাখা এবং দুর্বলদেরই বিচার হওয়া। চার. আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাপট, সীমাহীন দুর্নীতি যখন সমাজে জেঁকে বসে তখন এ ধরনের কর্মকাণ্ড সংঘটিত  হবেই। পাঁচ. পথে পথে চাঁদাবাজি, অনিশ্চিত যাত্রা ও ভয়াবহ যানজটের কারণে নির্দিষ্ট গন্তেব্যে পৌঁছাতে অধিকতর বিলম্ব। দেশের সমস্ত এলাকা থেকে ফল, সবজি, মাছ, তরকারি সবই আসে ঢাকায়। বাংলাদেশের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, ঢাকায় আসতে ৫-৬ ঘণ্টার বেশি সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু সেই আসা দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত গড়ায়। কোন কারণ ছাড়াই রাস্তায় জ্যাম। ছয়. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অবহেলিত, ক্রেতাদের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকা।

শুধুমাত্র যখন তিন-চারদিন জ্যামে আটকে থাকে যানবাহন,  তখন পথেই অনেক কিছু নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই অনিশ্চিত জ্যাম, দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে ব্যবসায়ীরা তাদের ক্রয়কৃত ফল, সবজি, মাছ, তরকারিতে রাসায়নিক মিশিয়ে ঠিক রাখার চেষ্টা করেন, ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে চান। যদি এই বিষয়টি নিশ্চিত করা যেতো যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব ধরনের খাবারের ট্রাক সঠিক সময়ে ঢাকা পৌঁছাবে, তাহলে সবাই কিন্তু ফ্রেশ খাবার খেতে পারতাম, জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি এতটা হতো না। ব্যবসায়ীরাও বিভিন্ন ধরনের হেনস্থা থেকে বেঁচে যেতেন। কিন্তু এই নিশ্চয়তা তো কোন ব্যক্তি বা সংস্থা দিতে পারে না। এটি পুরোপুরি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু আমরা রাষ্ট্রের কাছে এটুকু আশা করতে পারি? পারি না। কেন পারি না তাও আমরা জানি। একটি ফলের গাড়ি উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা আসতে কত জায়গায় চাঁদা দিতে হয়, চাঁদা দিতে দেরি হলে তাকে কত ধরনের হেনস্থা ও বিলম্বের শিকার হতে হয় তা সচেতন মানুষ সবাই জানেন, কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে করার কিছুই নাই , শুধু ভোগান্তিতে পরা আর দুঃখপ্রকাশ করা ছাড়া।

দেশে যত গবেষণাই করা হোক না কেন তার মধ্যে সবচেয়ে উপকারি, জনবান্ধব ও সরাসরি দৃশ্যমান হচ্ছে কৃষিক্ষেত্রের গবেষণা। অমাদের মতো দেশে বাকি গবেষণার বিষয় ও ফলাফল সংশ্লিষ্ট জার্নালেই লিপিবন্ধ থাকে। আর কৃষি গবেষণা মানুষ ও দেশ সরাসরি প্রয়োগ করে লাভবান হচ্ছে। আমরা তা প্রত্যক্ষও করছি- খাদ্য উৎপাদন, ফল ও শাক-সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে। আমরা কৃষিবিজ্ঞানী ও  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনুরোধ করছি  গবেষণা করে প্রাকৃতিক উপায়ে খাদ্যের পচনশীলতা কিভাবে বিলম্বে করানো যায় তা বের করে জনসাধারণের কাছে এবং দেশের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তা না হলে জাতি এ রাসায়নিক বিষ আর কতদিন খাবে?

মর্গে মানুষের লাশ ও গবেষণাগারে প্রাণীর মৃতদেহ সংরক্ষণে যে ফরমালিন ব্যবহার করা হয়, সে ফরমালিন এখন ব্যবহার করা হচ্ছে খাদ্যদ্রব্যের পচন রোধ করার কাজে। মাছ বিক্রেতারা মাছের পচন রোধ করার জন্য ফরমালিন ব্যবহার করছেন। একইভাবে দুধ যাতে নষ্ট না হয় সে জন্যও ফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে। ইদানিং মাংসেও ফরমালিন ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। জাতির জন্য এ আর এক অশনি সংকেত। ফরমালিন মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে, কিডনি, লিভার ও শ্বাসতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু এর আমদানি ও ব্যবহার চলছে অবাধে। আদালতের নির্দেশনা ছিল বন্দরগুলোতে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো ফল আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা, বাজারের আড়তগুলোতে প্রতিদিন ফলের রাসায়নিক পরীক্ষা করা ও দোষীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা। এগুলো রাষ্ট্রের দায়িত্ব- সেখান থেকে আমরা আর কতটা কি আশা করব? রাষ্ট্র এক্ষেত্রে যা করবে তাতো দেখতেই পাচ্ছি। অসাধু ব্যবসায়ী, লোভী কৃষক, ক্ষমতা ও দাপটের রাজনীতির কারণে ফল, মাছ-মাংস, সবজির কোনটিতেই বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো ঠেকানো যাচ্ছে না। হঠাৎ হঠাৎ একজন নির্বাহী মেজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়, সেখানেও যেন রাজনীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কারণ দেখা যায় কারুর কারি কারি ফল, মাছ হঠাৎ করে নষ্ট করে দেওয়া হয়। পরে দেখা যায় যে যন্ত্র দিয়ে রাসায়নিক দ্রব্য মাপা হয়েছে সে যন্ত্রটিই সঠিক নয়। আর সমস্যার গোড়ায় না গিয়ে হঠাৎ হঠাৎ এ ধরনের অভিযান কতটা কার্যকর হয় সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কিছুদিন আগে ঢাকার কারওয়ান বাজার এবং যাত্রাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ধ্বংস করা হয় কয়েক হাজার মণ আম। অভিযোগ আমগুলো ছিল অপরিপক্ক এবং ইথোফেন ও কারবাইড দিয়ে পাকানো। কিছু  কৃষিবিজ্ঞানী বলছেন কারবাইড ও ইথোফেন বহুল ব্যবহৃত ফল পাকানোর বাসায়নিক, নির্দিষ্ট মাত্রার ফল পাকানোর ওষুধ, এগুলো নাকি অনেক দেশেই সহনীয় মাত্রায় ব্যবহার করা হয়। কারবাইড ফলের মধ্যে প্রবেশ করে না, তাপ উৎপন্ন করে যা আম অথবা অন্য ফলকে পাকাতে সাহায্য করে। আমাদের দেশে কারবাইড নিষিদ্ধের কারণ হলো, কমার্শিয়াল কারবাইডে সামান্য পরিমাণ আর্সেনিক ও ফসফিন অপদ্রব্য হিসেবে মিশ্রিত থাকে, যা প্রয়োগকারী বা ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর ইথোফেন প্রয়োগ করা হলেও সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নির্ধারিত মাত্রার নিচে চলে আসে। ইথোফেন এবং কারবাইড তাৎক্ষণিকভাবে মাপার কোন যন্ত্র আমাদের দেশে নেই। বিশেষজ্ঞদের সাথে না নিয়ে, সঠিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ না করে হঠাৎ করে একজন ম্যাজিস্ট্রেট একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এর মাধ্যমে কতটা সুফল আমরা আশা করতে পারি? কৃষিবিজ্ঞানীদের কেউ কেউ বলছেন কারবাইড ও ইথোফেন  দিয়ে পাকানো আমের স্বাদে তারতম্য হলেও পুষ্টিগুণ নাকি ঠিক থাকে। তারা আরও বলছেন, ফরমালিন ফল বা শাক-সবজিতে কাজ করে না , আমিষে করে। আমে প্রাকৃতিকভাবেই ফরমালিন থাকে, আমের পচনশীলতা রোধ করার জন্য নাকি ফরমালিন প্রয়োগ করার প্রয়োজন নেই আর প্রয়োগ তেমন একটা করাও হয় না। এ বিষয়গুলোও তর্কের উর্ধ্বে নয়।

আমরা সবশেষে আবারও দেশের কৃষিবিজ্ঞানী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রসায়নবিদদের অনুরোধ করছি প্রাকৃতিক উপায়ে ফল, শাক সবজি, মাছ তরকারি ও মাংসের পচনশীলতা দীর্ঘায়িত করার পদ্ধতি আবিষ্কার করে দেশময় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। আর শিক্ষকসহ সমাজের সৎ ব্যক্তিদের অনুরোধ করছি নৈতিকতার শিক্ষা ও অভ্যাস যাতে সর্বত্র চালু হয় সে ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন  করার। কারণ দেশকে ভালো রাখার দায়িত্ব সকলের।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ জুন ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়