খাবারের খোঁজে শালিকের ঝাঁক
ভোরের আলো ফুটতেই কুষ্টিয়ার মিরপুর বাজার ও আশপাশের এলাকায় দেখা যায় এক ঝাঁক শালিক পাখি।
খাবারের সন্ধানে দিনের বেশির ভাগ সময় বাজার ও আশেপাশের বাগানে ঘুরে বেড়ায় শালিকের দল। কিচিরমিচির শব্দে পুরো এলাকা মাতিয়ে তোলে।
শীতকালে খাবারের উৎস কমে গেলে পাখিরা লোকালয়ে ভিড় করে। স্থানীয়রা পাখিগুলোকে খেতেও দেয়। ফলে ওই এলাকা শালিক পাখির অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে।
মিরপুরের স্থানীয় বাসিন্দা অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন পণ্ডিত জানান, মিরপুরে বেশ কয়েক প্রজাতির শালিক দেখা যায়। তবে এ সময়টায় মূলত ভাত শালিক বেশি দেখা যায়। খাবারের জন্য শালিকের দলগুলো বাজারে ঘুরে বেড়ায়। এছাড়াও আশেপাশের ফলের বাগান ও মাঠেও দেখা যায়।
মিরপুর বাজারের চা বিক্রেতা ইসা হক জানান, বেশ কয়েক বছর বাজারে শালিক পাখি খাবারের জন্য আসছে। তবে শীতের সময় এদের বেশি দেখা যায়। শীত জুড়েই এসব পাখি এখানে থাকে।
হোটেল কর্মচারী রমেন কুমার পাল বলেন, প্রতিদিন আমাদের হোটেলের বাসি সিঙ্গারা, জিলিপিসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খাবার পাখিদের দেওয়া হয়। এছাড়াও অনেকে পাউরুটি, বিস্কুট, চানাচুর খেতে দেয়।
কসমেটিক দোকানের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা পাখিদের কোনো ক্ষতি করি না। এসব পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। এরা আমাদের সম্পদ। তাই পাখি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের।
শালিক মূলত বেশ কয়েক ধরনের হয়। গো-শালিক বা গোবরে-শালিক, ঝুঁটি শালিক, ভাত শালিক, গাঙ শালিক, বামন শালিক প্রভৃতি। সামাজিক পাখি হিসেবে শালিকের সুনাম রয়েছে।
কুষ্টিয়া/জেনিস
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন