ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

খালেদার জামিন আবেদন খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খালেদার জামিন আবেদন খারিজ

ফাইল ফটো

অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া একজন দণ্ডিত ব্যক্তি। সাধারণ মানুষ আদালত থেকে যে ধরনের সুবিধা পাবেন, দণ্ডিত ব্যক্তি হিসেবে খালেদা জিয়া সেই সুবিধা পাবেন না।’

বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ খারিজ করে এই আদেশ দেন।

আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এর আগে খালেদার জামিন শুনানিতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নত চিকিৎসার খালেদা জিয়া সম্মত দেননি। এ কারণে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। খালেদার চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েই সম্ভব বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির এক পর্যায়ে খালেদা জিয়ার শারিরিক অবস্থা জানাতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।

অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে খালেদার জামিন আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে চান।

জামিন আবেদনের যুক্তিতে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ্য এবং তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন। একইসঙ্গে খালেদার শারিরিক অবস্থা জানতে চেয়েও আবেদন করা হয়।

গত বছরের ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন। এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।


ঢাকা/মেহেদী/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়