খালেদার জামিন বিষয়ে আপিল বিভাগে যাওয়ার পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন না শুনে আপিল বিভাগে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এ এসএম আব্দুল মবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পরামর্শ দেন।
খালেদার জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য উঠলে আদালত বলেন, যেহেতু এই মামলায় জামিন আবেদনের ওপর এর আগে হাইকোর্টের একটি জ্যেষ্ঠ বেঞ্চে শুনানির পর সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে সেহেতু বিষিয়টি এখন আপিল বিভাগে নিয়ে যেতে পারেন।
এ সময় খালেদার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে শুনানি হলেও আপনাদের শুনতে কোনো বাধা নেই। এরপরও আদালত জামিন আবেদনটি শুনতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
তখন খালেদার আইনজীবীরা বলেন, তাহলে জামিন আবেদনটি আমরা ফেরত নিচ্ছি।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
পরে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান বলেন, এই মামলায় খালেদার জামিন আবেদন আগেই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে খারিজ হয়েছে। হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল বিভাগে যেতে পারেন। সেই একই আবেদন আবার নতুন করে হাইকোর্ট শুনতে পারেন না। এ প্রশ্নে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রুলসটা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
গত ০৩ সেপ্টেম্বর এই মামলায় দ্বিতীয় বারের মত জামিন আবেদন করা হয়।
গত ৩১ জুলাই এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড আপিল শুনানিকালে স্থগিত করে এ মামলার যাবতীয় নথি ২ মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ জুন মামলার নথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ডদেন আদালত। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯/মেহেদী/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন