ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

খুলনায় চালের বাজার চড়া

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৭, ২৯ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খুলনায় চালের বাজার চড়া

খুলনা মহানগরী ও জেলায় চালের বাজার এখন ঊধ্র্বমুখী। দাম বাড়ছে দফায় দফায়। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের মূল্য প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ২ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাজারে এক ধরনের অরাজগতা বিরাজ করছে।

চাল ব্যবসায়ীরা চালের দাম বৃদ্ধির জন্য চালকল মালিকদের দায়ী করেছেন। তারা বলছেন, নতুন ধান বাজারে আসার মুহূর্তে তারা দাম বৃদ্ধি করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে, মিল মালিকদের দাবি, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়ে খুলনাঞ্চলের বহু জমির ধানক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে আপাততঃ কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। তবে, বাজারে নতুন চালের সরবরাহ বাড়লে দাম স্বাভাবিক হবে।

শুক্রবার খুলনার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বাজারে সব ধরনের চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে মিনিকেট কেজিপ্রতি ৮-১০ টাকা বেড়ে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবে বাসমতি ৭-৮ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায়; ২৮ বালাম চাল ৪-৫ টাকা বেড়ে ৩৮ টাকায়; মোটা ও স্বর্ণা ২ টাকা বেড়ে ৩২ টাকায়; বিশ্বাস মিনিকেট ৮-১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায়; আঙ্গুর বাসমতি ৮ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায়; এরফান মিনিকেট ৬ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায়; মুকুট মিনিকেট ৬ টাকা বেড়ে ৪৪ টাকায়; ২৮ পরশ বালাম ৬ টাকা বেড়ে ৩৮ টাকায়; ময়ূর-২৮ ৪ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায়; মজুমদার-২৮ ৪ টাকা বেড়ে ৩৮ টাকায়; ইরি আতপ ৩ টাকা বেড়ে ২৫ টাকায়; ১৮ আতপ আতপ ২ টাকা বেড়ে ৩০ টাকায় ও ভাইটাল আতপ ২ টাকা বেড়ে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বড় বাজারের মেসার্স এসএম ট্রেডার্সের বিক্রেতা মো. রুবেল জমাদ্দার এ প্রতিবেদককে বলেন, বর্তমানে বাজারে সব ধরনের চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, বাজারে নতুন চাল আসলে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

পাইকারি বিক্রেতা মেসার্স আশরাফ ভান্ডারের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বেশি দামে কেনার কারণে তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। চালকল মালিকরা দাম কমালে পাইকারি ও খুচরা দোকানে চালের দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।

অপর বিক্রেতা মো. জাকির হোসেন বলেন, এখন পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম বাড়তি। আবার নতুন চাল বাজারে আসার পর মিল মালিকরা যদি দাম না কমায় তাহলে তাদের কমানোর সুযোগ নেই।

খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ২৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ক্ষতির পরিমাণ ২৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।


খুলনা/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়