ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

গৃহঋণের সুদের হার কমলো

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৭, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গৃহঋণের সুদের হার কমলো

সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহনির্মাণ ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে তাদেরকে ঋণের ওপর ৯ শতাংশ হারে সরল সুদ (সুদের ওপর সুদ নয়) দিতে হবে।

গত রোববার অর্থ বিভাগের উপ-সচিব দিল আফরোজা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারি চাকরিজীবীরা ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ পাচ্ছেন। এ ঋণের জন্য ব্যাংক মোট ১০ শতাংশ হারে সরল সুদ নিচ্ছে। তবে ঋণগ্রহীতাদের দিতে হচ্ছে ৫ শতাংশ। বাকিটা সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে।

রোববার ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে এ ঋণে সুদহার ১ শতাংশ কমানো হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের জন্য গৃহনির্মাণ ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ঋণগ্রহীতা ব্যাংক রেটের সমহারে (৫ বা ৫ শতাংশের কম বা বেশি হতে পারে) সুদ পরিশোধ করবেন। সুদের অবশিষ্ট অর্থ সরকার ভর্তুকি হিসেবে ব্যাংকগুলোকে দেবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ পুনঃনির্ধারণ করা হলো।

এটি হবে সরল সুদ এবং ঋণগ্রহীতা কর্মচারী কেবল ব্যাংক রেটের সমহারে সুদ পরিশোধ করবেন। এ পুনঃনির্ধারিত সুদের হার কেবল নতুন ঋণগ্রহীতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন প্রজ্ঞাপন কার্যকর হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শিল্পঋণে সুদহার ৯ শতাংশ বেঁধে দেয়া হয়েছে। তাই গৃহনির্মাণ ঋণেও সুদের হার ১০ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হলো।

তিনি আরো জানান, ১০ শতাংশ সুদ থাকার সময় ঋণগ্রহীতাকে পরিশোধ করতে হতো ৫ শতাংশ আর সরকার দিত ৫ শতাংশ। সুদের হার ৯ শতাংশ নির্ধারণের পর ঋণগ্রহীতাদের ব্যাংক রেটের সমহারে সুদ পরিশোধ করতে হবে নাকি এটি কমিয়ে সাড়ে ৪ কিংবা ৪ শতাংশ করা হবে, সেটি খুব শিগগির বৈঠক করে নির্ধারণ করা হবে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই অর্থ বিভাগ থেকে ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়।

ওই প্রজ্ঞাপনে এসব ঋণের সুদহারের ক্ষেত্রে বলা হয়, এ ঋণের জন্য ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে সরল সুদ নেবে। অর্থাৎ চক্রবৃদ্ধি সুদ (সুদের ওপর সুদ) নেয়া হবে না। ঋণগ্রহীতাকে দিতে হবে ৫ শতাংশ। বাকিটা সরকারের পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হবে ভর্তুকি হিসেবে। তবে প্রজ্ঞাপনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের শিক্ষক-কর্মচারীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।

সম্প্রতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের শিক্ষক-কর্মচারীদের এ ঋণের আওতায় এনে নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য নতুন নীতিমালার আওতায় গৃহনির্মাণ ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সরল সুদ। ঋণগ্রহীতা ব্যাংক রেটের সমহারে (প্রায় ৫ শতাংশ) সুদ পরিশোধ করবেন। সুদের অবশিষ্ট অর্থ সরকার ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করবে। সরকার সময়ে সময়ে সুদের এ হার পুননির্ধারণ করতে পারবে। তবে পুনঃনির্ধারণ অনুরূপ সুদের হার কেবল নতুন ঋণগ্রহীতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।


ঢাকা/হাসনাত/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়