ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

৮ হাজার অবিক্রিত গাড়ি নিয়ে বিপাকে আমদানিকারকরা

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৫৭, ২২ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৮ হাজার অবিক্রিত গাড়ি নিয়ে বিপাকে আমদানিকারকরা

চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর এবং ঢাকা-চট্টগ্রামের বিভিন্ন শোরুমে প্রায় ৮ হাজার অবিক্রিত গাড়ি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন গাড়ি আমদানিকারকরা। 

এছাড়া, লকডাউন পরিস্থিতির আগে জাহাজীকরণ হওয়ায় আরো ১২শ’ গাড়ি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। এই অবস্থায় টিকে থাকার স্বার্থে সরকারের প্রণোদনা ও সহযোগিতা কামনা করেছেন গাড়ি আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন ‘বারভিডা’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস. এম. আনোয়ার সাদাত এই তথ্য রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দেশে চলমান পরিস্থিতিতে গাড়ি আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা ভয়াবহ সংকটের মুখে পতিত হয়েছেন। দেশের বন্দরসমূহে এই লকডাউনে আটকে আছে কয়েক হাজার গাড়ি।

এছাড়া, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরের চার শতাধিক শোরুমে আটকে আছে আরও প্রায় চার হাজার অবিক্রিত গাড়ি। লকডাউনের আগে জাহাজীকরণ হয়েছে আরও প্রায় ১২শ’ গাড়ি যেগুলো আগামী সপ্তাহেই বন্দরে এসে পৌঁছাবে।

ব্যবসায়ীরা প্রায় এক মাস ধরে গৃহবন্দী কিন্তু এসব গাড়ির ব্যাংক ঋণের সুদ, বন্দরের মাশুল কোন কিছুই থেমে নেই। এছাড়াও রয়েছে গাড়ির শোরুমগুলোর প্রতি মাসের ভাড়া, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনসহ আরও অন্যান্য খরচ। করোনা মহামারীর কারণে লকডাউন গত মাস থেকে শুরু হলেও গাড়ি ব্যবসায় স্থবিরতা শুরু হয় জানুয়ারি মাস থেকেই।

এসএম. আনোয়ার সাদাত আরো জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গাড়ি ব্যবসায়ীদের জন্য প্রতি মাসের শোরুম/অফিস ভাড়া, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ব্যাংক ঋণের সুদ, বন্দরের মাশুল পরিশোধ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে। সরকার যদি এখনই এই খাতের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা না করে তাহলে মুখ থুবড়ে পড়বে এই বিশাল বিনিয়োগ। পুঁজিহারা ও ঋণগ্রস্ত হয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের গাড়ি ব্যবসায়ী এই নেতা সরকারের কাছে কিছু  সুনির্দিষ্ট দাবি জানিয়েছেন। সেগুলো হলো—

১। প্রাথমিকভাবে আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বন্দরে আটকে থাকা সকল গাড়ির বন্দরের মাশুল সম্পূর্ণরূপে মওকুফ করা এবং যাবতীয় নিলাম কার্যক্রম স্থগিত করা।

২। ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনার জন্য যে সকল ব্যাংক ঋণ নিয়েছেন সে সকল ঋণের সুদ সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় নিয়ে পুনঃনির্ধারণ করা।

৩। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা যে বিপুল পরিমাণ ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন এগুলো সময়মত পরিশোধে ব্যর্থ হলেও তাদেরকে ঋণখেলাপির কাতারে না ফেলা।

তাই, অনতিবিলম্বে এই যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করে ব্যবসায়িক মন্দা কাটিয়ে আবার দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করার সুযোগ দেয়ার দাবি জানান এই গাড়ি ব্যবসায়ী নেতা।

 

চট্টগ্রাম/রেজাউল/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়