ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

চাঁদাবাজির অভিযোগে এসআই জেসমিন প্রত্যাহার

শাহরিয়ার সিফাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ২৮ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চাঁদাবাজির অভিযোগে এসআই জেসমিন প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে টাঙ্গাইল মডেল থানার এসআই জেসমিন আক্তারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আজ রোববার সকালে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নেয়া হয়। এ ছাড়া তার সোর্স বক্করকে আটক করা হয়েছে।

একইসঙ্গে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এসআই জেসমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।

এর আগে শনিবার রাতে টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই জেসমিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগে থানা ঘেরাও করে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেলতা গ্রামের কয়েকশত মানুষ। এ সময় এলাকাবাসী জেসমিনের বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ৯টার দিকে থানা চত্বর ত্যাগ করে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চলতি বছরের গত ২৮ মার্চ রক্ষিত বেলতা এলাকায় ছেলের সামনে প্রবাসীর স্ত্রী রেজিয়া বেগমকে হত্যা করে ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি থাকায় পুলিশ বিভিন্নজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারই ধারাবাহিকতায় কয়েকজনকে আটক করে এসআই জেসমিন আক্তার ও তার সোর্স বক্কর হোসেনের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার পুলিশের সোর্স বক্কর হোসেন রক্ষিত বেলতা এলাকায় হাজী আয়নাল হকের বাসায় গিয়ে টাকা দাবি করেন। পরে স্থানীয়রা বক্কর হোসেনকে আটক করে। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল থানার এসআই জেসমিন আক্তার গিয়ে বক্কর হোসেনকে উদ্ধার করেন এবং সাধারণ মানুষকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসেন। এরপরই ওই গ্রামের নারী-পুরুষরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাতে সদর থানা ঘেরাও করে।

হাজী আয়নাল হক বলেন, ‘‘শনিবার আছরের নামাজ পড়ে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় এসআই জেসমিনের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি গাড়ি থামিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেন- আমার নাম কি হাজী আয়নাল? আমি হ্যাঁ বললে আমার নাম ঠিকানা তিনি খাতায় লিখে নিয়ে চলে যান। অপর দিকে আমার বাড়িতে পুলিশের সোর্স বক্কর হোসেন গিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করলে কয়েকজন মিলে বক্করকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি। পরে জেসমিন আমাকেসহ এলাকাবাসীকে হুমকি ধামকি দেন।’’

জেসমিন বলেন, ‘‘বক্করের কিছু হলে এলাকার কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এর আগেও তিনি তার সোর্স বক্করের মাধ্যমে এই এলাকার কয়েকজনকে আটক করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে বক্কর এই এলাকায় জেসমিনের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতেন।’’

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, জেসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 




রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/২৮ এপ্রিল ২০১৯/শাহরিয়ার সিফাত/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়