ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চালকুমড়ার বড়িতে ভাগ্য খুলছে তাদের

কাঞ্চন কুমার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চালকুমড়ার বড়িতে ভাগ্য খুলছে তাদের

পৌষের শুরুতেই হঠাৎ করে শীত জেঁকে বসেছে। এর মধ্যে চালকুমড়ার বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার গ্রামাঞ্চলের নারীরা। এ বড়ি তৈরি ও তা বাজারে বিক্রি করে কুষ্টিয়াতে এখন অনেক পরিবার স্বাবলম্বীও হচ্ছেন।

সাত সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর, আমলা সদরপুর, কবুরহাট, জগতি, আহাম্মদপুর, শিমুলিয়া, ভেড়ামারা, দৌলতপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চালকুমড়ার বড়ি তৈরি করতে বেশ ব্যস্ত পরিবারের প্রায় সবাই।

যারা এই কুমড়ার বড়ি তৈরি করছেন, তাদের মধ্যে কেউ বা তৈরি করছেন বাজারে বিক্রির জন্য, আবার অনেকেই বিভিন্ন খাবারের সাথে বাড়তি স্বাদ আনতে নিজ হাতে বড়ি তৈরি করছেন এবং তা বছর জুড়েই খাবেন।

স্থানীয় বাজারে সুস্বাদু খাবার হিসেবে চাল কুমড়ো বড়ির বেশ কদর রয়েছে। ভোক্তারা বাজার থেকে চালকুমড়ার বড়ি কিনে এনে তেলে ভেজে বিভিন্ন তরকারিতে দিয়ে রান্না করে খেয়ে থাকেন। বড়ি দেয়া তরকারি বিশেষ স্বাদের হওয়ায় বহু মানুষ এ বড়ি পছন্দ করে থাকেন।

কবুরহাট এলাকার গৃহবধু আঞ্জুমান আরা খাতুন বলেন, ‘আগের দিনে সারা রাত ডাল শিলপাটায় বেটে গুঁড়া করে, তা সারা দিন রোদ্রে শুকানোর পর চালকুমড়ার বড়ি তৈরি করা হতো। এখন আর রাতভর শিলপাটায় ডাল গুঁড়া করতে হয় না। ডাল বর্তমানে মেশিনের সাহায্যে গুঁড়া করে বড়ি তৈরি করা যায়। তবে, একেবারে পরিশ্রম কমও নয়। এই বড়ি সারা বছর তৈরি করা গেলেও এটা শীতকালে বেশি তৈরি হয় এবং শীত মৌসুমের তৈরি বড়ি বেশি সুস্বাদু হয়। যে কারণে, এই সময়ে বিক্রয়কারীসহ নিজ বাড়িতে খাওয়ার জন্য এই বড়ি তৈরি করেন অনেকেই।’

একই এলাকার মারিয়া খাতুন জানান, পৌষ-মাঘ মাসে নতুন ডাল ও গাছপাকা চালকুমড়া দিয়ে বড়ি ভালো হয়। গরমের সময় কিংবা চালকুমড়া পুরনো হলে কিংবা গাছপাকা না হলে বড়ি টক হয় এবং ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া সে বড়িগুলো বেশি দিন রাখা সম্ভব হয় না।

 

কুষ্টিয়া/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়