ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চ্যাপেলকে পাল্টা জবাব মিসবাহর

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চ্যাপেলকে পাল্টা জবাব মিসবাহর

মিসবাহ-উল-হক

ক্রীড়া ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার কাছে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর পাকিস্তানকে সমালোচনার বানে বিদ্ধ করেছিলেন ইয়ান চ্যাপেল। পাকিস্তানকে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে ডাকার কোনো মানে নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি। চ্যাপেলের এমন মন্তব্যের বিষয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। চ্যাপেলের মন্তব্যকে ‘অযাচিত এবং অশোভন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।

চ্যাপেল বলেছিলেন, ‘এই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় টানা ১২ টেস্টে হারল পাকিস্তান। কাউকে না কাউকে তো ওদের পশ্চাৎ​দেশে লাথি মারতেই হবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার উচিত হবে ওদের বলা, “দেখো, খেলার মান বাড়াতে না পারলে আমরা তোমাদের আর ডাকব না।’” অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি আরো বলেছিলেন, ‘আপনি এভাবে বাজে খেলে যেতে পারেন না। বাজে বোলিং করে, রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে, বাজে ফিল্ডিং করে অস্ট্রেলিয়ায় ভালো ক্রিকেট খেলার আশা করতে পারেন না।’

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লেখা এক কলামে চ্যাপেলের মন্তব্যকে ‘অযাচিত এবং অশোভন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন মিসবাহ। পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক লিখেছেন, ‘দলে আমার অবস্থান, আমার নেতৃত্ব এবং পাকিস্তান দলের অস্ট্রেলিয়া সফর করা উচিত কি না, এসব বিষয়ে ইয়ান চ্যাপেলের কিছু মন্তব্য আমার নজরে এসেছে, যার পুরোটাই অযাচিত এবং অশোভন। তার মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও ক্রিকেট পর্যবেক্ষকের কাছ থেকে এমন অর্থহীন মন্তব্য একেবারেই প্রত্যাশিত নয়।’

অস্ট্রেলিয়া এশিয়ায় তাদের শেষ ৯ টেস্টেই হেরেছে। ২০০৮ সাল থেকে এশিয়ায় ১৮ টেস্ট খেলে ১৩টিতেই হেরেছে অসিরা, জিতেছে মাত্র একটি। পাকিস্তানকে নিয়ে চ্যাপেলের অভিমত মেনে নিলে অস্ট্রেলিয়ারও বিদেশ সফর করা উচিত নয় বলে মনে করেন মিসবাহ, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াও তো পরাজিতদের দলে আছে। তারা শ্রীলঙ্কার এমন এক দলের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে যে দলে মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারাদের মতো খেলোয়াড় ছিলেন না, এমনকি ওই দলের অনেক ক্রিকেটার ১০টি টেস্টও খেলেনি।’

‘তারপর অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে ৫-০ ব্যবধানে। নিকট অতীতে তারা আরব আমিরাতে আমাদের কাছে এবং ভারতেও হোয়াইটওয়াশ হয়ে এসেছে। চ্যাপেলের মন্তব্য অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে আমরাও তো প্রশ্ন তুলতে পারি, এভাবে উপমহাদেশে হোয়াইটওয়াশ হতে থাকলে তাদেরও সেখানে খেলতে যাবার কোনো মানে আছে কি? যদি অস্ট্রেলিয়া এশিয়ায় না যায় আর এশিয়ান দল অস্ট্রেলিয়ায় সফর না করে, তাহলে কীভাবে তারা উন্নতি করবে?’  

অনেক লম্বা বিরতি দিয়ে বিদেশ সফরে যায় বলেই স্বাগতিকদের সাথে সফরকারীদের লড়াইটা ভারসাম্যহীন হয়ে যায় বলে মনে করেন মিসবাহ, ‘যদি সাত বছর পরপর (পাকিস্তান সবশেষ অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সফর করেছিল ২০০৯-১০ মৌসুমে) অস্ট্রেলিয়া সফর করি তাহলে কীভাবে উন্নতি করব আমরা? পরবর্তীতে যখন সেখানে যাব তখন হয়তো ৮-৯ জন নতুন মুখ থাকবে এবং আগের সফরের তিনজন খেলোয়াড় তাদের অংশ হবে।’

তথ্যসূত্র : ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, ক্রিকইনফো।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ জানুয়ারি ২০১৭/পরাগ/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়