ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চড়ুই’র কিচির মিচিরে সন্ধ্যা নামে যেখানে

আব্দুল্লাহ আল নোমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ১৩ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চড়ুই’র কিচির মিচিরে সন্ধ্যা নামে যেখানে

সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পীরের বাজার। সন্ধ্যা হলেই এ বাজার সংলগ্ন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে চড়ুই’র কিচির মিচির শব্দে কানে তালা লাগার অবস্থা তৈরি হয়।

ফিলিং স্টেশনের সাত-আটটি গাছে শত শত চড়ুই’র ওড়াওড়ি ছোটাছুটি ডাকাডাকি হট্টগোল। যেন চড়ুইদের রাজত্ব।

স্থানীয়রা জানালেন, চড়ুই পাখির কলকাকলিতেই এখানে প্রতিদিন সন্ধ্যা নামে এবং ভোর হয় ।

কথা হয় এখানের বাসিন্দা পারভেজের সাথে। তিনি জানালেন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে চড়ুই পাখি। আশ্রয় নেয় বিভিন্ন গাছে। ভোরের আলো ফুটলেই দল বেঁধে চলে যায় তারা। চড়ুই পাখির এমন কলতানে মুগ্ধ হয় সবাই।

এ স্টেশনে প্রতিদিনই গ্যাস নিতে আসেন সিএনজি চালক জুবায়ের আহমদ। তিনি জানান, সন্ধ্যায় পাখির কলতানে মুগ্ধ হন তারা। পাখির সুবিধার্থে গাছে ঝোপের মাঝখানে আলোর ব্যবস্থাও করা আছে। এ কারণে পাখিদের এডালে ওডালে লাফালাফি ছোটাছুটিও উপভোগ করেন।

বন-বাদাড় রেখে মহাসড়কের পাশের এমন একটি স্থানে চড়ুই’র এমন সম্মিলন কেন?- এমন প্রশ্ন ছিল সেখানে থাকা দর্শনার্থীদের কাছে।

জবাবে তারা বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেন। তবে বেশির ভাগেরই মত- ফিলিং স্টেশনে অধিক লাইটের কারণে এখানে বিভিন্ন ধরনের পোকা ওড়াওড়ি করে, আর চড়ুই পাখি এসব পোকা খেতে আসে। ফলে তারা এখানেই আশ্রয়স্থল গড়ে তুলেছে।

আর ফিলিং স্টেশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাদের এখানে পাখি ধরা কিংবা মারা নিষিদ্ধ। যে কারণে বেশ ক'বছর ধরে এসব গাছে চড়ুই নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তুলেছে।

প্রকৃতি প্রেমিরা বলছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখির প্রতি ভালোবাসা আর সচেতনতা বাড়াতে হবে। সিলেটের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ভূমিসন্তান বাংলাদেশ’ এর সমন্বয়ক মোহাম্মদ আশরাফুল কবির বললেন, ‘অবাধে বৃক্ষ নিধনের কারণে পরিবেশ ভারসাম্য হারানোর পাশাপাশি পাখিরাও তাদের আবাসস্থল হারিয়ে ফেলছে।’ এজন্য তিনি বেশি করে গাছ লাগানোর তাগিদ দেন।

 

সিলেট/ আব্দুল্লাহ আল নোমান/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়