ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ছেলেধরা সন্দেহে কুড়িগ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে পিটুনি

বাদশাহ সৈকত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৭, ২০ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ছেলেধরা সন্দেহে কুড়িগ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে পিটুনি

বাদশাহ্ সৈকত, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে বেঁধে পিটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ত্রিমোহনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ত্রিমোহনী বাজার জামে মসজিদের পিছনে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যাক্তির বাসায় যায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী। এ সময় ওই বাসার ভাড়াটিয়া তারা মিয়ার শিশু কন্যার হাত ধরে টান দেন ওই নারী। এ ঘটনায় শিশুটি চিৎকার দিলে বাসার লোকজন বেড়িয়ে এসে ওই  নারীকে ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে ওই  নারী দৌড় দিলে তারা মিয়া তাকে আটক করে ত্রিমোহনী বাজারের একটি দোকানের খুঁটিতে বেঁধে পিটান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন এসময় ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ছেলেধরা আটক করা হয়েছে মর্মে  পুলিশের সহায়তা চায়। কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই  নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

কুড়িগ্রাম সদর থানায় ডিউটি অফিসারের রুমের মেঝেতে কম্বল গায়ে শুয়ে বিলাপ করছেন ওই নারী। তাকে পিটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করছিলেন তিনি। তার নাম জিজ্ঞাসা করলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। কয়েকবার জিজ্ঞাসার পর তিনি নিজেকে রেজিয়া পারভীন নামে পরিচয় দেন। বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে কখনও নাটোরের শিঙড়া আবার কখনও গোবিন্দ নগর ঠিকানা বলছিলেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজার রহমান জানান, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে ত্রিমোহনী এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক এক নারীকে উদ্ধার করা হয়। তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পরিচয় পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


রাইজিংবিডি/ কুড়িগ্রাম/২০ আগস্ট ২০১৯/ বাদশাহ্ সৈকত/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়