ছয় ছাত্র হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ২৩ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারের আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ২৩ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল হককে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। কিন্তু এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত অবশিষ্ট জেরার জন্য এ তারিখ ঠিক করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস এসব তথ্য জানান।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত চার্জশিটভুক্ত ৯২ সাক্ষীর মধ্যে ৫৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলার চরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন- ধানমন্ডির ম্যাপললিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত।

ওই ঘটনায় নিহতদের বন্ধু আল আমিন গুরুতর আহত হলেও বেঁচে যান। ঘটনার পর ডাকাতির অভিযোগে আল আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ডাকাতি মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক। ওই সময় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত গ্রামবাসীদের আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করে।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আল আমিনকে ডাকাতি মামলা থেকে সেদিন অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ছয়জন পলাতক, একজন কারাগারে, ৫২ জন জামিনে আছেন। এক আসামি মারা গেছেন। এছাড়া, ১৪ আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জুলাই ২০১৯/মামুন খান/রফিক