ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জনতার মুখোমুখি চট্টগ্রাম সিটি মেয়র

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১২, ২৫ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জনতার মুখোমুখি চট্টগ্রাম সিটি মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : দায়িত্ব পালনের চার বছরে নাগরিকদের মুখোমুখি হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর আসকার দীঘির পাড়স্থ রীমা কনভেনশন সেন্টারে ‘জনতার মুখোমুখি মেয়র’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে মেয়র নাগরিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তার ব্যর্থতা সাফল্য নিয়ে কথা বলেন।

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘‘যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবো, সেই স্বপ্নই আমি দেখতে চাই।’’

চট্টগ্রাম মহানগরীকে সমৃদ্ধ সবুজ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘আমি চট্টগ্রামকে নিরাপদ, বাসযোগ্য, পরিষ্কার ও সবুজ নগরী হিসেবে গড়তে চাই, যা ক্রমে দৃশ্যমান হচ্ছে। এ কাজে নগরবাসীকে সঙ্গে পেতে চাই। জোর করে চাপিয়ে দিলে টেকসই হয় না। তাই ধীরগতিতে এগোচ্ছি আমরা। আমার প্রত্যাশা উন্নত দেশের সমৃদ্ধ নগরের মতো চট্টগ্রামকে গড়ে তোলা এবং তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’’

উপস্থিত জনতার প্রশ্নের জবাবে আ জ ম নাছির বলেন, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন রয়েছে সিটি কর্পোরেশন। নগরীর প্রতিটি এলাকায় চসিক নিয়মিত ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ডোর টু ডোর ময়লা সংগ্রহ এবং রাতে ময়লা অপসারণ করায় অন্য যেকোনো শহরের চেয়ে চট্টগ্রামে মশা কম, ডেঙ্গুর প্রকোপও চট্টগ্রামে কম। নগরীতে ফগার ও হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে ১৬১ জন কর্মী নিয়মিত ওষুধ ছিটাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন মেয়র।

মেয়র হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালনের নানা দিক উপস্থাপন করে তিনি বলেন, ‘‘মেয়র হিসেবে আমি কোনো সম্মানী বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করিনি। ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা সম্মানীসহ সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে আসছি। শিক্ষার্থী, সেবা সংস্থা, রোগীদের কল্যাণে এই টাকা খরচ হচ্ছে।’’

নগরীর কিছু সমস্যা তুলে ধরে আ জ ম নাছির বলেন, ‘‘চট্টগ্রাম নগরীতে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা পরিকল্পিতভাবে হয়েছে এটা আমি দাবি করতে পারি না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সুপরিকল্পিত নয়। দায়িত্বজ্ঞানহীন কিছু বাসিন্দা পানি আটকে দেন, বৃষ্টি-জোয়ারের পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি করে। এতে নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।’’ 

চট্টগ্রাম নগরীতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং গণপরিবহন নিয়ে জনদুর্ভোগ লাগব করতে বেসরকারি উদ্যোগে ১০০টি এসি বাস নামানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে এসি বাস আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করতে এলসি খুলেছে। বিআরটিএ এবং নগর পুলিশকে এই পরিবহন অনুমোদন দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।


রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/২৫ জুলাই ২০১৯/রেজাউল/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়