ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

জন্মশতবার্ষিকীতেই আঙ্কারায় স্থাপিত হবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ১৪ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জন্মশতবার্ষিকীতেই আঙ্কারায় স্থাপিত হবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য

হাসান মাহামুদ : তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য খুব শিগগিরই স্থাপিত হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ও তুরস্কের পররাষ্ট্র দপ্তরের তৃতীয় পরামর্শ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুই দেশে দুটি দেশের স্থপতিদের ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্মের শতবছর উপলক্ষ্যে ‌বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী' উদযাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই  সময়ের মধ্যেই তুরস্কের ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছে বলেও জানা গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে আঙ্কারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে।

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী রাইজিংবিডিকে জানান, দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের পঞ্চম বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের পরবর্তী সভা এ বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকের আগেই বঙ্গবন্ধু এবং তুরস্কের জাতির পিতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের আলাদা আলাদা ভাস্কর্য নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতেই তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য উন্মোচনের আশা করছি আমরা।

জানা গেছে, ঢাকায় বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে তুরস্কের জাতির পিতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কেরও একটি আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি নির্মাণ করবে তুরস্ক সরকার।

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কূটনীতি ও বাণিজ্য সর্ম্পক রয়েছে। একে দ্বিপাক্ষিক কূটনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সম্পর্কোন্নয়নে নিয়ে যেতে চায় দুই দেশ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কূটনৈতিক বক্তব্য হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর মতো- 'কারো সাথে শত্রুতা নয়, সবার সাথে বন্ধুতা'।

বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের পঞ্চম বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের পরবর্তী সভা এ বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রকে আরও সম্প্রসারিত ও ব্যাপকতর করার লক্ষ্যে বিশদ আলোচনা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যে পররাষ্ট্র দপ্তরের সচিব পর্যায়ের পরবর্তী বৈঠক ২০২০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।

দু'দেশের মধ্যকার সর্বশেষ পরামর্শ সভায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, তুরস্কে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক (আরএমজি) আমদানি সহজীকরণ ইত্যাদি আলোচনায় প্রাধান্য পায়। বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তচ্যূত রোহিঙ্গাদের জন্য তুরস্কের সহযোগিতার বিষয়টিও এ সভায় বিশেষ গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়।

বৈঠকে বাস্তচ্যূত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও দ্রুত প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও তুরস্ক জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক ফোরামে একযোগে কাজ করবে মর্মে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ আগস্ট ২০১৯/হাসান/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়