ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জবলেস গ্রোথ- ভাবতে হবে এখনই

মাছুম বিল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৮ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জবলেস গ্রোথ- ভাবতে হবে এখনই

মাছুম বিল্লাহ : দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাড়ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিন্তু বাড়ছে না কর্মসংস্থান । আর যেসব মেগাপ্রজেক্ট চলছে সেগুলোর উপযোগিতা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ২০১৮ সালের ১৩ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়ার আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ছায়া-সংসদ ‘জন-বাজেট সংসদ-২০১৮’ আলোচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জাতীয় পরিকল্পনা ও বাজেট সম্পর্কিত সংসদীয় ককাস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি যৌথভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, পেশা ও বৈশিষ্ট্যের মানুষের অংশগ্রহণে চতুর্থবারের মতো জন-বাজেট সংসদ আয়োজন করে। সেখানে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারাকত নানা তথ্য উপাত্ত চ্যালেঞ্জ করে বলেন, সরকারি হিসেবে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ বলা হলেও দেশে প্রকৃত বেকারের সংখ্যা কোটির বেশি। এই কর্মসংস্থানহীন জিডিপি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়ন বলতে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন বোঝায় না। এর সাথে জড়িত রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ আরো অনেক কিছু। বাংলাদেশে এক দিকে বাড়ছে প্রবৃদ্ধির হার, অপর দিকে বাড়ছে বেকারত্ব- এই যে এক পরিস্থিতি, এরই নাম ‘কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি’ তথা জবলেস গ্রোথ। যা কোনো দেশেরই স্বাভাবিক সমাজ উন্নয়ন কাম্য নয়। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিকতা হচ্ছে- যে হারে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটবে, সমান তালে বাড়বে কর্মসংস্থান সৃষ্টির হার।

কিন্তু বাংলাদেশ সেই স্বাভাবিকতার বাইরে ২০০৫-০৬ থেকে ২০১০ সময়কালে শিল্পে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি ছিল বার্ষিক ৬.৩৪ শতাংশ, আর ২০১০ থেকে ২০১৩ সময়ে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ১২.৩৪ শতাংশ।  ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত কর্মসংস্থান বেড়েছে মাত্র ১৪ লাখ , কিন্তু ২০১০-২০১৩ এই তিন বছরে মোট কর্মসংস্থান বেড়েছিল ৪০ লাখ, অর্থাৎ বছরে ১৩ লাখ। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষমতা অনেক কমে গিয়েছে। এশিয়ার সব দেশের গড় থেকে দেখা যায় ১শতাংশ কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রয়োজন হচ্ছে ৩.১৩ শতাংশ। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশে কি প্রবৃদ্ধি এমন খাতে হচ্ছে অথবা এমন প্রকৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে, যা এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম শ্রমনির্ভর? বিষয়টি নীতিনির্ধারক চিন্তার যথেষ্ট খোরাক যোগাবে।

সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে,  ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৬ শতাংশ। আর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ২০১৩ যেখানে বেকারদের সংখ্যা ছিল ছয় কোটি সাত লাখ, সেখানে একই সময়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে মাত্র ২৮ লাখ। এর অপর অর্থ হচ্ছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ০.৯ শতাংশ হারে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের উল্লিখিত পাঁচ বছরে যে হারে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ঘটছে তার আট ভাগের এক ভাগ হারে সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান। এতে সহজেই অনুমেয় বাংলাদেশের এই জবলেস গ্রোথ পরিস্থিতি বোঝার জন্য আমাদের মনোযোগ দিতে হবে পরিসংখ্যানের দিকে। ‘ লেবার ফোর্স সার্ভে’ অনুসারে গত পাঁচ বছরে কৃষিখাতে কর্মসংস্থান কমেছে ১৫ লাখ। এ সময় অর্থনীতি ও সেবাখাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ৩৯ লাখ। এর মধ্যে শিল্পখাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে তিন লাখ। উল্লিখিত এই পাঁচ বছরে কৃষিখাতে কর্মসংস্থান কমেছে ১.১ শতাংশ হারে। যেখানে উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি হার ছিল ৩.২ শতাংশ। এই সময়ে শিল্পখাতে কর্মসংস্থান বেড়েছে মাত্র ০.৫ শতাংশ হারে, যদিও উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি হার ছিল ৯.৮ শতাংশ। অপর দিকে সেবাখাতে কর্মসংস্থান বেড়েছে মোটামুটি ৪ শতাংশ, যেখানে উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের মতো।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) রিপোর্ট মতে বাংলাদেশের যুব জনগোষ্ঠীর সংখ্যা পাঁচ কোটি ২০লাখ, যা মোট জনস্যংখার এক-তৃতীয়াংশ। আশা করা হচ্ছে, আগামী দশ বছর সময়ে প্রতি বছর ২২ লাখ বাংলাদেশী কর্মোপযোগীর বয়সে উপনীত হবে। যে হারে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি সে হারে হচ্ছে না, ফলে বেকার সমস্যা বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আইএলও বলছে, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের এক-তৃতীয়াংশ যুবশ্রেণির। এই যুব জনগোষ্ঠীর এক তৃতীয়াংশ বেকার। আগামী দশ বছরে বাংলাদেশের এক কোটি যুবক চাকরির বাজারে প্রবেশ করবে, যাদের মাত্র ৪০শতাংশ চাকরি পাবে। বাকী ৬০ শতাংশের কী হবে? তাদের মধ্যে খুব সীমিত একটি অংশ হয়তো নিজ উদ্যোগে সৃষ্ট কর্মস্থানে ঢুকে যাবে, বাকী বিশাল অংশ কিন্তু বেকার থাকবে। তাদের বেকার থাকার অর্থ হচ্ছে সামাজিক ভারসাম্যহীনতা নষ্ট হওয়া, এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করা, জাতীয় কোটি কোটি ঘণ্টা শ্রম নষ্ট হওয়া এবং সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়া। আগামী দশ বছর কিন্তু বেশি সময় নয়। অথচ এ বিষয়ে আমাদের জাতীয় পর্যায়ে কোনো চিন্তা বা কোনো কর্ম পরিকল্পনা কিন্তু দেখছি না।

লেবার ফোর্স সার্ভে অনুযায়ী দেখা যায় গত পাঁচ বছরে কৃষিক্ষেত্রে ১.৫ শতাংশ কর্মসংস্থান কমে যাওয়ায় অর্থনীতির ক্ষেত্রে যেসব নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তার ৩.৯ মিলিয়ন সেবাখাতে। তার মধ্যে শিল্প সৃষ্টি করেছে মাত্র ০.৩ মিলিয়ন কর্মসংস্থান, যেখানে উৎপদান বেড়েছে ৩.২ শতাংশ।। ২০১৩ এবং ২০১৬-২০১৭ সময়কালে বছরে কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থান কমেছে ১.১ শতাংশ হারে, শিল্পখাতে বেড়েছে ০.৫ শতাংশ হারে, যদিও এর উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৯.৮ শতাংশ। প্রকৃতপক্ষে ২০১৩ থেকে ২০১৫-১৬ সময়কালে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে মোট কর্মসংস্থানের পরিমাণ কমে গেছে। আগের বছরের ৯৫ লাখ থেকে কমে হয়েছে ৮৫ লাখ। বাংলাদেশের শিল্পখাতে মূল স্তম্ভ তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে মোট কর্মসংস্থান ২০১৩ সালের ৪৮.৫ লাখ থেকে ২০১৫-১৬ সালে ৪৫.৬ লাখে নেমে গিয়েছে। অর্থাৎ প্রতিবছর ৩ শতাংশ হারে কমেছে। তৈরি পোশাক খাতটি নারীদের কর্মসংস্থানের একটি প্রধান খাত। সেখানে তাদের কর্মসংস্থান ২০১৩ সালের ১৭ লাখ থেকে ২০১৫-১৬ সালে ১৪.৪ লাখে নেমে গিয়েছে। আর এর সাথে টেক্সটাইল যোগ করলে দুই খাত মিলে নারীর কর্মসংস্থানের পরিমাণ নেমেছে ২৫.৯ লাখ থেকে ২০.২ লাখে। বার্ষিক নিম্নগতির হার ১১.৭৮ শতাংশ। এটি  ২০১৫-১৬ সালের শ্রমশক্তি জরিপের প্রতিবেদন। শুধু তৈরি পোশাক নয়, খাদ্যশিল্পেও মোট কর্মসংস্থান এবং নারীদের কর্মসংস্থান কমেছে। এই খাতটি ২০১৩ সালে কর্মসংস্থানের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ছিল, কর্মসংস্থান ছিল ১২ লাখের বেশি লোকের। ২০১৫-১৬ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখের সামান্য উপরে। দেশে কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে অনেকে বাধ্য হয়েই দেশের বাইরে কাজ খোঁজেন। তাতে খরচ যতই লাগুক আর কাজের প্রকৃতি যাই হোক, এমনকি অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে অনেক টাকা খরচ করে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন অনেকে। গত কয়েক বছরে বিদেশে চাকরি নিয়ে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যা  বেড়েছে। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৫ লাখ লোক বিদেশে চাকরি নিয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তী তিন বছর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৫ লাখ ৮০ হাজারে। দেশে কর্মসংস্থান নেই বলেই তো এটি হচ্ছে।

মাননীয় অর্থমন্ত্রীও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলেছেন , দেশে একটা বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। আর সেটি হচ্ছে ‘জবলেস গ্রোথ’। এ বিষয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য ও বাস্তব চিত্রের মধ্যে অসামঞ্জস্য আছে যা আমার কাছে ধাঁধার মতো মনে হচ্ছে। কৃষিকাজে লোক পাওয়া যায় না , তার অর্থ হচ্ছে তারা অন্য কর্মে নিয়োজিত। আবার পরিসংখ্যান ব্যুরো দেখাচ্ছে কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি, বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এখানে বিষয়টি হচ্ছে কৃষিক্ষেত্রে আমাদের পুরো বিষয়টি ছিল ব্যক্তি শ্রমনির্ভর , যান্ত্রিক ছিল না। এখন কিছুট হলেও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হওয়ায়, কৃষিব্যবস্থাপনার সর্বক্ষেত্রে তা না হওয়ায় কায়িক শ্রমিক পাওয়া যায় না। সরকার  সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন হঠাৎ করে দ্বিগুণ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বলতে চেয়েছেন, সেখানেও কন্তিু রয়ে গেছে এক বিরাট সমস্যা।  একটি বিশেষ শ্রেণির বেতন হঠাৎ বৃদ্ধি দেশে যে মারাত্মক মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি করে তা রোধ করা তো দূরের কথা, মিনিমাইজ করার মতো কোনো কার্যকরী মেকানিজমও কিন্তু আমরা দেখছি না। আর তাই কাগজের মতো অর্থ ব্যয় করে সামান্য বিনিময় ক্রয় করা আর শ্রেণিবিভেদ সৃষ্টি করা কোনভাবেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত, প্রাইভেট জবে কর্মরত, শিল্প কারখানায় কর্মরত এবং কর্মসংস্থানহীনদের মধ্যে যে আকাশসম ব্যবধান সৃষ্টি করছে সেটিও একটি বিরক্তিকর  ও অনিয়ন্ত্রিত কাজ। এটি কোনো সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বলে না।

বাংলাদেশের জরিপগুলোতে বেকারত্বকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় তাতে খুব বেশিসংখ্যক লোক বেকার হিসেবে চিহ্নিত হয় না, না হওয়ারই কথা। তাই মাঝে মাঝে শোনা যায়  যে, দেশে কোনো বেকার নেই। তাছাড়া বেকার ভাতার ব্যবস্থা নেই বলে মানুষ কিছু একটা করে  জীবিকা নির্বাহ করে। তাছাড়া অনানুষ্ঠানিক খাত বলে শ্রমবাজারে একটি বিরাট অংশ রয়েছে, যেখানে সবাই কিছু একটা করে জীবন ধারনের ব্যবস্থা করে। এসব কারণে বেকারত্বে হার এবং অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থানের অংশ প্রায় অপরিবর্তিত থেকে যাচ্ছে। বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী কাজ করেন না এমন কর্মোপযোগী জনগোষ্ঠীকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- বেকার, খণ্ডকালীন কর্মজীবী ও সম্ভাবনাময় জনগোষ্ঠী। অন্যদিকে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ( ইআইইউ) প্রতিবদেন মতে, বাংলাদেশের ৪৭ শতাংশ স্নাতকই বেকার। বেকার নারী-পুরুষ হন্যে হয়ে কাজ খুঁজছেন কিন্তু তারা পাচ্ছেন না। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সেশনজট, নড়বড়ে শিক্ষাব্যবস্থা ও সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণেও  বেকারত্ব তৈরি হচ্ছে। ইউনেস্কোর মতে শিক্ষা হলো দারিদ্র বিমোচনের প্রধান শর্ত। কিন্তু আমরা যে শিক্ষাব্যবস্থা চালু রেখেছি তা আদৌ শিক্ষিত তরুণদের কাঙ্খিত চাহিদা পূরণ করতে ভূমিকা রাখছে কিনা তা ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। একজন স্নাতক বা স্নাতকোত্তর কিংবা শিক্ষিত তরুণদের কাঙ্খিত চাহিদা পূরণ করতে ভূমিকা রাখছে কিনা ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। দেশে  বর্তমানে  তিন লাখ পদ শূন্য আছে বলে বিভিন্ন পত্রিকা সূত্রে জানা যায়। শূন্য পদের কারণে প্রশাসনিকসহ টেকনিক্যাল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে জটিলতাও চলছে অনেক প্রতিষ্ঠানে। অথচ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। দেশের শিক্ষিত তরুণদের উদ্যোক্তা তৈরিতে কিংবা বিদেশে কাজের জন্য প্রস্তুত করতে সঠিক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। সেটিও কাঙ্খিত পর্যায়ে হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সরকারকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে দেশকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে হবে, সামঞ্জস্য আনতে হবে  অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের মধ্যে।

লেখক: ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ আগস্ট ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়