ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

জিভে জল আনে সেন্ট মার্টিনের ফিশ ফ্রাই

খায়রুল বাশার আশিক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৮, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জিভে জল আনে সেন্ট মার্টিনের ফিশ ফ্রাই

একবার ভাবুন, গোধূলী লগ্নে আপনি দাঁড়িয়ে আছেন সমুদ্রের নীল জলরাশির সামনে। শীতল হাওয়া প্রাণ জুড়িয়ে দিচ্ছে। আশপাশ থেকে আসছে লোভনীয় খাবারের ঘ্রাণ! এমন সময় রসনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক।

সেন্ট মার্টিন এসে অধিকাংশ পর্যটক ফিশ ফ্রাই কিংবা ফিশ বারবিকিউ এড়িয়ে যেতে পারেন না। বিষয়টি রেস্তোরাঁ মালিকরাও সম্ভবত বুঝে ফেলেছেন। যে কারণে তারা গড়ে তুলেছেন একাধিক ছোট-বড় হোটেল, রেস্তোরাঁ যেখানে ফিশ ফ্রাই করা হয়। চাহিবামাত্র প্রস্তুত করে এনে রাখা হয় গ্রাহকের সামনের টেবিলে। শুধু তাই নয়, খোঁজ নিলেই দেখবেন, প্রতিটি রিসোর্টে রয়েছে ফিশ বারবিকিউ-এর ব্যবস্থা।

গ্রাহকের পছন্দ বিবেচনায় তাজা সামুদ্রিক মাছের পশরা সাজিয়ে বসেছেন বারবিকিউ বিক্রেতারা। সি-বিচে গড়ে ওঠা এসব হোটেল, রেস্তোরাঁয় গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সাজিয়ে রাখা হয় নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। এর মধ্যে কোড়াল, টুনা, ফ্লাইং ফিশ, রূপচাঁদা, সাদা চাঁদা, কালো চাঁদা, চিংড়ি, অক্টোপাস ইত্যাদি রয়েছে। পাশাপাশি সাজানো থাকে হরেক প্রজাতির কাকড়া। কাকড়া ও অক্টোপাসের দাম নির্ধারণ করা হয় আকৃতি অনুসারে। মাছের দাম নির্ধারণ হয় ওজনের উপর ভিত্তি করে। পছন্দের মাছটি দরদামের পর গ্রাহকের সামনেই বারবিকিউ কিংবা ফ্রাই করে দেয়া হয়।

সন্ধ্যা হলেই বাড়তে থাকে গ্রাহকের ভিড়। গভীর রাত অবধি চলে বিক্রি। বিচের অনেকগুলো পয়েন্টে গড়ে উঠেছে শতাধিক বারবিকিউ দোকান। তবে লেখক হুমায়ূন আহমেদের বাড়ি সমুদ্র বিলাসের পেছনের গেটের আশপাশে ভিড় যেন একটু বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা গেল এখানকার দোকানগুলোতে রয়েছে হরেক রকমের মাছের সমাহার। দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পর্যটন মৌসুমে বিচে অস্থায়ীভিত্তিতে গড়ে ওঠে শতাধিক হোটেল। যার মাধ্যমে কর্মসংস্থান খুঁজে পায় প্রায় দুইশ মানুষ। অফ সিজিনে দোকানগুলো বন্ধ রাখা হয়।

সেন্ট মার্টিনের বারবিকিউ অন্য জায়গার চেয়ে আলাদা। এর স্বাদ যেন জিভে লেগে থাকে। এর কারণ ভালো মসলার ব্যবহার। পাশাপাশি এখানকার বারবিকিউ-এর জন্য কয়লা বানাতে ব্যবহার করা হয় বাঁশ গাছের গোড়ার অংশ। ফলে আগুন থেকে সঠিক উত্তাপ পাওয়া যায় এবং ধোঁয়া কম হয়। তাই বারবিকিউ-এর স্বাদ-গন্ধ অটুট থাকে।

ঢাকা থেকে গিয়েছেন পর্যটক আরিফুল আলম। তিনি জানালেন, দেশের সমুদ্র তীরবর্তী অনেক বিচের বারবিকিউ-এর স্বাদ নেয়ার সুযোগ হয়েছে। সেন্ট মার্টিনের বারবিকিউ ভিন্ন রকম।

এমন ভিন্নধর্মী স্বাদের কারণেই তৃতীয় বারের মতো সেন্ট মার্টিন এসেছেন তিনি। আসতে চান ভবিষ্যতেও।


ঢাকা/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়