ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জেডিপিসির পাটপণ্যের বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ১২ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জেডিপিসির পাটপণ্যের বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) পাটপণ্যের প্রদর্শন ও বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জেডিপিসি সম্মেলন কক্ষে পাটপণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য (অতি. সচিব), পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন, বস্ত্র পরিদপ্তরের পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক নাসিমা বেগম (যুগ্ম সচিব), বাংলাদেশ জুট ডাইভারসিফাইড প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিজেএমইএ) আহ্বায়ক মো. রাশেদুল করিম মুন্নাসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং জেডিপিসির কর্মকর্তারা।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাটপণ্যের নানামুখী উৎপাদন ও বিপণন হলেও নির্দিষ্ট কোনো বিক্রয়কেন্দ্র না থাকায় দেশি-বিদেশি বড় ক্রেতারা এসব পণ্য সম্পর্কে জানতে পারতেন না। ফলে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ কারণে এসব পণ্যের একটি নির্দিষ্ট স্থানে বিপণনের ব্যবস্থা করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আবারও সোনালি আঁশের দেশ হিসেবে রূপান্তর করে পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার। জেডিপিসিতে বহুমুখী পাটপণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্রের  উদ্বোধন করার মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হলো। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ সুষ্ঠুভাবে  শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অতি দ্রুত আরো ১১টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, পাট সোনালি আঁশ নামে খ্যাত বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। দেশের চার কোটিরও বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাটশিল্পের সঙ্গে জড়িত। কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি, দেশের অভ্যন্তরের পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে বর্তমান সরকার। দেশি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত বহুমুখী পাটপণ্য এক জায়গা থেকে প্রদর্শন ও বিক্রির উদ্দেশ্যে এ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এ কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ক্রেতারা একই জায়গা থেকে পছন্দমতো বহুমুখী পাটপণ্য সম্পর্কে ধারণা নিতে এবং তা ক্রয় করতে পারবেন। পাটের হারানো গৌরব ফিরে পেতে এ বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

স্থায়ীভাবে এ বিক্রয়কেন্দ্র থেকে দেশে উৎপাদিত ১৩৫টি পাটপণ্য ক্রয় করা যাবে।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জানুয়ারি ২০১৭/আসাদ/হাসান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়