ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

ক্রাইস্টচার্চের ‘সেই’ হামলার রায় আগস্টে

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৮, ৩ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
ক্রাইস্টচার্চের ‘সেই’ হামলার রায় আগস্টে

বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ দিন ১৫ মার্চ, ২০১৯। এদিন মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন সেসময় নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়া টাইগার ক্রিকেটাররা। নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। যে সন্ত্রাসী হামলায় অর্ধশত মুসলিম প্রাণ হারিয়েছিল।

আর সেই নারকীয় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট। সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরপরই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হোন ট্যারান্ট; আর এই সন্ত্রাসী নৃশংস সে হামলার দোষ স্বীকারও করেছিলেন। সেই ঘটনার দীর্ঘ এক বছর পর আসছে আগস্টে সে হামলার বিপরীতে হওয়া মামলার রায় দিবে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম। আর এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই মামলার প্রধান বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডার।

এই বিচারক জানিয়েছেন, এই মামলার শুনানি তিন দিনের মধ্যে শেষ করার খেয়াল তাদের। তবে প্রয়োজনে সময় বাড়তে পারে। আর ট্যারান্টের মামলার শুনানি ২৪ আগস্ট থেকে শুরু করার লক্ষ্য তাদের। ভিডিও প্রযুক্তির সুবিধা থাকবে এই বিচার কার্যক্রমে। হামলার শিকার হওয়া যে কেউ চাইলে এই ভিডিওতে বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে বা দেখতে পারবে।

এদিকে এই হামলার জন্য ট্যারান্টের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড সংবাদ মাধ্যম। এদিকে এই মামলার সুষ্ঠু রায় দিয়ে মুসলমানদের মধ্যে জমে থাকা খারাপ লাগা কমিয়ে দিতে পারবেন বলে আশা করে ক্যামেরন ম্যান্ডার বলেন, ‘একটা সুষ্ঠু রায় দেওয়ার মাধ্যমে এই মামলার সমাপ্তি ঘোষণা করতে পারলে মুসলিম জনগোষ্ঠীর খারাপ লাগা কিছুটা লাঘব করতে পারবো বলে আশা করছি।’

টাইগার ক্রিকেটের জন্য ভয়াবহ সেদিন ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে একটি মসজিদে স্থানীয় সময় দেড়টায় জুমা’র নামাজ পড়তে যান ক্রিকেটাররা। এই সময়ে দলের সঙ্গে থাকা লিটন দাস এবং নাঈম হাসান ছাড়া সবাই উপস্থিত ছিলেন। আর ঠিক সে সময় ওই মসজিদ এবং এর আশেপাশে থাকা মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় ট্যারান্ট। আর এতে ৫১ জন মানুষ মারা যান, ৪০ জনের মতো আহত হোন।

আর এই অবস্থা দেখে স্থানীয় একজন তাদের মসজিদে ঢুকতে নিষেধ করেন। আর জানান, এখানে নারকীয় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। টাইগার দলের সদস্যরাও আতঙ্কিতগ্রস্ত হয়ে দৌড়ে স্টেডিয়ামে ফেরত আসেন। পরে তাদের টিম হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মুশফিকুর রহিম। আর এমন বিপর্যস্ত অবস্থায় সিরিজ খেলা সম্ভব নয় বলে সেটি বাতিল করে টাইগারদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

ঢাকা/কামরুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়