ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

টাকা ফেরত না দিতেই চিকিৎসককে খুন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
টাকা ফেরত না দিতেই চিকিৎসককে খুন

মাতুয়াইলে চিকিৎসক মোবারক হোসেন (৩৩) হত্যায় প্রধান সন্দেহভাজন ফ্রেন্ডপশিপ হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ জামালসহ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

জামালের সঙ্গে মোবারকের আর্থিক লেনদেন ছিল বলে জানিয়ে নিহতের স্বজনেরা দাবি করছেন, মূলত এ নিয়ে ঝামেলার কারণেই মোবারককে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।

গত শুক্রবার মোবারকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে কথা হয় ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ভুক্তভোগির স্বজনদের অভিযোগে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় জামালকে আসামি করা হয়। তবে হত‌্যাকাণ্ডের পর থেকেই জামাল পলাতক রয়েছেন। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে জামালকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

রাইজিংবিডির প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘লাশটি ঝুলন্ত থাকলেও এখনই আত্মহত্যা বলা যাবে না। কেননা একজন ব্যক্তি কত উপর থেকে নিজে ঝুলে আত্মহত্যা করতে পারেন, তার একটি ধারণা আমাদের আছে। মোবারক ফ্যানের সঙ্গে ঝুললেও একা তার পক্ষে গলায় ফাঁস দেওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে তিনি টেবিল বা কোনো চেয়ারের সাহায্য নেবেন। কিন্তু তদন্তে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।’

নিহতর স্বজন নাহিদ হোসেন জানান, ‘মোবারক একজন ফার্মাস্টিট। মাতুয়াইল একটি হাসপাতালে বসতেন। চিকিৎসক হওয়ায় জামালের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক ছিল। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময় জামাল মোবারকের কাছ থেকে নগদ টাকা ধার নেন। এছাড়া ওষুধ বিক্রির অনেক টাকা জামালের কাছে ছিল। কিন্তু জামালের কাছে টাকা চাইতে গেলে হুমকি-ধমকি দেওয়া হতো, যা বিভিন্ন সময় মোবারক বলেছিলেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়াও হয়। পরে জামাল টাকা দেয়া থেকে বাঁচতে মোবারককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এবং লাশ ঝুলিয়ে রাখে। জামালকে গ্রেপ্তার করলে খুনের রহস‌্য বেরিয়ে আসবে।’

মোবারক মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘এটি জামাল জানতে পারেন। যেন মোবারক মামলা করতে না পারেন, সেজন্যই হত্যা করা হয়েছে।’

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, মোবারকের গ্রামের বাড়ি ভোলা হলেও দীর্ঘদিন মাতুয়াইরের ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত সাত মাস আগে তিনি বিয়ে করেন। সব সময় হাসিমুখে থাকতেন মোবারক।

পাশের বাসার সাজ্জাদ হোসেন বলছিলেন, এমন মানুষ আত্মহত্যা করবেন, তা কখনোই মনে হয়নি।

পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন ফোন করে মোবারককে ডেকে নিয়ে যান জামাল। পরে সেখানে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়। এ সময় জামালের কক্ষে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২ জন ছিলেন।


ঢাকা/মাকসুদ/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়