ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

টিসিবির পণ্য কিনতে ভিড় ক্রেতাদের

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ১৩ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ১১:০১, ১৩ এপ্রিল ২০২১
টিসিবির পণ্য কিনতে ভিড় ক্রেতাদের

টিসিবির পণ্য কেনার লাইনে আগে নিম্ন আয়ের মানুষদেরই দেখা যেতো। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সব শ্রেণি পেশার মানুষকেই নিরবে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে । দীর্ঘ অপেক্ষাতেও তাদের মাঝে বিরক্তিবোধ দেখা যায় না। কোনো রকমে পণ্য হাতের এলেই যেন বেঁচে যান।

রাজধানীর প্রায় প্রতিটি টিসিবি ট্রাকের পেছনে মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনাও ঘটছে। ভিড়ের কারণে পণ্য পেতে দীর্ঘসূত্রতায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মানুষ বেশি হওয়ায় লাইনের শৃঙ্খলা যেমন থাকে না, তেমনি চাহিদামাফিক পণ্যটিও ফুরিয়ে যায়। পরবর্তী এ নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতায় তর্ক-বিতর্ক হয়। আবার শেষ সময়ে ক্রেতারা নিজেরাও কথা কাটাকাটি-হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন। রাজধানীর কয়েকটি স্পট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সোমবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে রাজধানীর শনিরআখড়ায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই টিসিবি ট্রাকের পেছনে দীর্ঘ লাইন। তেল, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও চিনি স্বল্পমূল্যে বিক্রি হচ্ছে এ ট্রাক থেকে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, ছোলা, মসুর ডাল, চিনি ৫৫ টাকা কেজি দরে এবং তুর্কি পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারের চেয়ে একটু কম দামে এসব পণ্য কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। দুপুর থেকেই সেখানে পণ্য কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন। তবে সন্ধ্যার পর ভিড়টা আরও বেড়ে যায়। অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে ক্লান্তি ভুলে অনেকে একটু কম দামে পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে যান। সেখানে সামাজিক দূরত্বও হারিয়ে যায় ক্রেতাদের।

আলাপকালে টিসিবি ট্রাকের শামসুর রহমান বলেন, ‘যথেষ্ট পণ্য নিয়ে এখানে এসেছিলাম। আমরা তো সবাইকে মাল দিতে চাই। কিন্তু ক্রেতার চাপ অনেক বেশি। এজন্য সবাইকে দিতে পারলাম না।’

সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা কি জোর করে ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব মানাতে পারি? যদি তারা না চান। আর দেখলেন না, তারা মাল কিনতে ট্রাকের ওপর উঠে যেতে চাইছে। কেমনে তাদের আমরা সামলাই।’

সবজি বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন এসেছেন ট্রাক থেকে তেল, ছোলা, পেঁয়াজ কিনতে। তিনি বলেন, ‘বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। একটু কম দামে মাল কিনতে অনেকক্ষণ ধরে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। কিনতেও পেরেছি। কষ্টটা স্বার্থক হলো।’

এদিকে পণ্য কিনতে না পারায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আব্দুর রহিম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই পেলাম না। আসলে আমাদের মত গরীবদের জন্য কারো মায়া নাই। কি আর করা, খালি হাতে ফিরে যাই।’

ঢাকা/মামুন/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়