টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ : যা যা জানা দরকার
ক্রীড়া ডেস্ক : অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। আইসিসির নতুন এই আয়োজন সম্পর্কে যা যা জানা দরকার...
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ কী?
এটিকে বলা যেতে পারে আইসিসির বৈশ্বিক টেস্ট লিগ। দুই বছর মেয়াদী এই লিগে অংশ নেবে শীর্ষ নয়টি টেস্ট খেলুড়ে দল।
প্রতিটি দল দুই বছরের মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলবে। যার তিনটি দেশের মাটিতে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। প্রতিটি সিরিজ হবে কমপক্ষে দুই টেস্টের। সর্বোচ্চ পাঁচটি টেস্ট থাকতে পারবে এক সিরিজে। এই সময়ে সিরিজ হবে মোট ২৭টি, যেখানে টেস্টের সংখ্যা ৭১টি। ২০২১ সালের জুনে লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই দলকে নিয়ে হবে ফাইনাল।
কেন দরকার?
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিটি ম্যাচেই পয়েন্ট থাকবে, ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে। আবার নির্দিষ্ট কোনো সিরিজে অংশ না নেওয়া দলের সমর্থকদেরও সেই সিরিজ নিয়ে আগ্রহ থাকবে। কারণ প্রত্যেকের জয়-পরাজয়-ড্র অন্যের লিগ টেবিলের অবস্থানকে প্রভাবিত করবে।
এছাড়া বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলো যেভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে তাতে টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে, স্টেডিয়ামে দর্শক টানতে এমন একটি লিগ খুব জরুরি হয়ে পড়েছিল।
কারা খেলবে?
২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা নয় দল অংশ নেবে এই লিগে। দলগুলো হলো- ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ। এই দলগুলো চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরেও নিজেদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে সিরিজ আয়োজন করতে পারবে। তবে এর পয়েন্ট লিগের টেবিলে যুক্ত হবে না।
কীভাবে নির্ধারণ হবে পয়েন্ট?
প্রতিটি সিরিজে থাকবে ১২০ পয়েন্ট, সেটা দুই ম্যাচের সিরিজ হোক কিংবা পাঁচ ম্যাচের। উদাহরণস্বরূপ, দুই ম্যাচের সিরিজে প্রতিটি টেস্টের জন্য থাকবে ৬০ পয়েন্ট, অর্থাৎ জিতলে পাওয়া যাবে এই ৬০ পয়েন্ট। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রতিটি টেস্টের জন্য থাকবে ২৪ পয়েন্ট। ম্যাচ টাই হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে, আর ড্র হলে পাওয়া যাবে একটি জয়ের এক তৃতীয়াংশ পয়েন্ট। অর্থাৎ দুই ম্যাচের সিরিজে প্রতিটি ড্রয়ের জন্য ২০ পয়েন্ট, পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ড্রয়ের জন্য ৮ পয়েন্ট পাওয়া যাবে।
ফাইনাল ড্র কিংবা টাই হলে কী হবে?
ফাইনাল ম্যাচ যদি ড্র কিংবা টাই হয় তাহলে দুই দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। ফাইনালের জন্য থাকবে রিজার্ভ ডেও। তবে রিজার্ভ ডে তখনই ব্যবহার হবে, যদি নির্ধারিত পাঁচ দিনে প্রয়োজনীয় সময় খেলা হতে না পারে। যেমন, পাঁচ দিনের টেস্টের জন্য মোট ৩০ ঘণ্টা বরাদ্দ থাকে (প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে)। বৃষ্টি বা অন্য কারণে টেস্টের কোনো দিনের পুরোটা বা আংশিক ভেসে গেলে, সময়টা অন্য দিনগুলোতে পুষিয়ে নেওয়া হয়। এরপরও যদি নির্ধারিত সময়ের খেলা নির্ধারিত দিনের মাঝে সম্পন্ন না হয়, তাহলে রিজার্ভ ডে-তে যাবে ম্যাচ।
ভবিষ্যৎ কী?
দুই বছর মেয়াদী এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৯ সালের ১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ। ফাইনাল হবে ২০২১ সালের জুনে। সেই মাসেই শুরু হবে পরের চ্যাম্পিয়নশিপ। যেটি শেষ হবে ২০২৩ সালের এপ্রিলে।
বাকি তিন দলের কী হবে?
জিম্বাবুয়ে এবং টেস্টের নবীন দুই সদস্য আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে পারছে না। বোর্ডের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে সম্প্রতি জিম্বাবুয়েকে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড এফটিপি অনুযায়ী টেস্ট খেলবে। তাদের সঙ্গে অন্য দলগুলোর দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ফল অবশ্য চ্যাম্পিয়নশিপে প্রভাব রাখবে না, তবে র্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব থাকবে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের সিরিজ
সময় |
প্রতিপক্ষ |
টেস্ট সংখ্যা |
হোম-অ্যাওয়ে |
নভেম্বর, ২০১৯ |
ভারত |
২ |
অ্যাওয়ে |
জানুয়ারি, ২০২০ |
পাকিস্তান |
২ |
অ্যাওয়ে |
ফেব্রুয়ারি, ২০২০ |
অস্ট্রেলিয়া |
২ |
হোম |
জুলাই-আগস্ট, ২০২০ |
শ্রীলঙ্কা |
৩ |
অ্যাওয়ে |
আগস্ট-সেপ্টেম্বর, ২০২০ |
নিউজিল্যান্ড |
২ |
হোম |
জানুয়ারি, ২০২১ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
৩ |
হোম |
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জুলাই ২০১৯/পরাগ/আমিনুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন