ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করলেন ফিলিস্তিনের খ্রিষ্টান নেতারা

রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৭, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করলেন ফিলিস্তিনের খ্রিষ্টান নেতারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনের খ্রিষ্টান নেতারা।

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ভয়ংকর ও তিরস্কারমূলক বলে অভিহিত করেছেন তারা। জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স চার্চের আর্চবিশপ আতাল্লাহ হান্না শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে খ্রিষ্টান ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক, যারা বিশ্বাস করেন সবচেয়ে পবিত্র, ধর্মীয় ও জাতীয় ঐতিহ্যের তীর্থভূমি জেরুজালেম।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনি, খ্রিষ্টান ও মুসলিমরা জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি।’ যুক্তরাষ্ট্র যে স্বীকৃতি দিয়েছে, তার অধিকার রাখে না তারা- এমনটি বলে মনে করেন আর্চবিশপ আতাল্লাহ হান্না।

ঐক্যের বার্তা
আর্চবিশপ আতাল্লাহ হান্না এমন সময় এই মন্তব্য করলেন, যখন রোববার বড়দিনের আগ মুহূর্তে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে অংশ নেওয়া শুরু করেছেন খ্রিষ্টানরা। এদিন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে যিশু খ্রিষ্টের জন্মস্থান বেথেলহেমে বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত বাৎসরিক অনুষ্ঠানে খ্রিষ্টানদের পাশাপাশি মুসলিমরাও অংশ নেয়।

বেথেলহেমের স্থানীয় পরিষদের সদস্য মাহের কানাভাটি বলেছেন, ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও সমঝোতার বার্তা’ দিতে এবারের উদযাপন চলছে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমরা শান্তি চাই কিন্তু আমরা জেরুজালেমকেও ভাগাভাগি করে নিতে চাই এবং ফিলিস্তিনি হিসেবে জেরুজালেমে অবাধে প্রবেশ করতে চাই।’ 

প্রতিবছর এই সময় পর্যটকে ভরে যায় বেথেলহেম। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের কারণে বেথেলহেমের পাশেই ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত থাকায় এবার জনসমাগম খুবই কম। কানাভাটি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর অসংখ্য মানুষ হয়তো জানেন না, আসলেই ওই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন কেমন। তাদের মধ্যে অনেকে আছেন, যারা দেশে আছেন কিন্তু বেথেহেমে আসছেন না। জেরুজালেম ও দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করছেন তারা।’ 

কানাভাটি জোর দিয়ে বলেন, ‘কিন্তু আমরা এখানে উযাপন করছি- সবাইকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছি। খ্রিষ্টান ও মুসলিম সম্প্রদায়কে সমর্থন করতে যারা বেথেলহেমে আসছেন, তাদের সেবাযত্ন করা আমাদের  জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

তথ্যসূত্র : আলজাজিরা অনলাইন

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ ডিসেম্বর ২০১৭/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়