ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ডিমলার খামারিরা দুধ নিয়ে বিপাকে

ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৮, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ডিমলার খামারিরা দুধ নিয়ে বিপাকে

ফাইল ফটো

নীলফামারী প্রতিনিধি : তিস্তা নদীর বন্যা ও ভাঙনে নিঃস্ব ও ভূমিহীন পারিবারগুলো নিজেদের স্বাবলম্বী করতে পরিবারভিত্তিক দুগ্ধখামার গড়ে তুলেছে। এতে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হলেও তার ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

এখানে দুগ্ধ শীতলীকরণ (চিলিং পয়েন্ট) কেন্দ্র না থাকায় দুগ্ধখামারিরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। দুধ সময় মতো বিক্রি না হওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিমলা উপজেলা অফিসের হিসাবমতে, ডিমলায় গবাদি পশুর সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার। দৈনিক দুধ উৎপাদন হয় ১৫২০০ লিটার। বর্তমানে প্রতি লিটার দুধ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়।

সরেজমিন গেলে ডিমলার খগাখরিবাড়ী মেম্বারপাড়ার মেরিনা বেগম জানান, তিনি দুইটি বিদেশি গাভী পালন করছেন। প্রতিদিন তিনি দুধ পান ৯ হতে ১১ লিটার। বাবুরহাট এলাকার নুরুল ইসলাম বলেন, তার খামারে ১৯টি বিদেশি গাভী হতে প্রতিদিন ৯০ লিটার দুধ হয়। কুমারপাড়ার আজিজুল হক জানান, তার খামারে ১৭টি গাভী প্রতিদিন ৬৫ লিটার দুধ দেয়।

তারা জানান, উৎপাদিত দুধ বাজারজাত করতে পারছেন না। স্থানীয় হাট-বাজারের হোটেল ও বাসাবাড়ীতে প্রতিদিন ১৫ হাজার লিটার দুধ বিক্রি হয় না। আবার দামও কম। লিটার প্রতি ২০ হতে ২৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে গাভী পালনের খরচ ওঠে না।

তারা জানান, উৎপাদিত দুধ বিক্রি না হওয়ায় প্রচুর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডিমলা উপজেলায় দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র (চিলিং পয়েন্ট) না থাকার কারণে দুধের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর মিল্ক ভিটা লিমিটেডের রংপুর চিলিং পয়েন্টের সিনিয়র ব্যবস্থাপক ডা. শ্যামল কুমার রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ডিমলার দুগ্ধখামার পরিদর্শন করেন। তারা সরকারি উদ্যোগে এখানে  চিলিং পয়েন্ট স্থাপন করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত উদ্যোগ দেখা যায়নি।



রাইজিংবিডি/নীলফামারী/২৪ জানুয়ারি ২০১৭/ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়