ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির অপেক্ষায়

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২১ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির অপেক্ষায়

মেহেদী হাসান ডালিম : ভয়াল  একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল হাইকোর্টে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন রাষ্ট্রপক্ষ।

এ লক্ষ্যে মামলার পেপারবুক তৈরির কাজ চলছে। পেপারবুক প্রস্তুত হলেই ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে উঠবে।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাতে দ্রুত পেপারবুক প্রস্তুত হয় তা সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টিতে আনব। পেপারবুক প্রস্তুত হলেই ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে।’

নিম্ন আদালত কোন মামলায় যখন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন। যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। পেপারবুক প্রস্তুত হলে মামলা শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আরো বলেন, এ মামলায় নিম্ন আদালত কয়েকজনকে ফাঁসি দিয়েছেন, কয়েকজনকে যাবজ্জীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়েছেন। যেহেতু এখানে মৃত্যুদণ্ড আছে, এটা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে শুনানি করতে হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। এ ধরনের মামলায় প্রথমত রাষ্ট্রপক্ষের পেপারবুক তৈরি করা হয়। এ পেপারবুক তৈরি হলেই আমরা শুনানির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

পেপারবুক তৈরির অগ্রগতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, পেপারবুক তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। এজন্য ডেথ রেফারেন্স শাখার দুইজন মুদ্রাক্ষরিক মামলার সকল নথি টাইপের কাজে সার্বক্ষনিক নিযুক্ত রয়েছেন। এটা সম্পন্ন হলেই পেপারবুক ছাপানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বিডিআরের (হত্যাযজ্ঞ) মামলায় বিশেষ ব্যবস্থায় পেপারবুক তৈরি হয়েছিল। এ মামলাতেও যাতে বিশেষ ব্যবস্থায় পেপারবুক তৈরি করা হয়, সে জন্য সুপ্রিমকোর্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। পেপারবুক তৈরি হলেই শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

গত বছরের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ‘ডাবল’ মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১।

দণ্ডিতদের মধ্যে অধিকাংশই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা। একই অপরাধে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে ‘ডাবল’ যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত।

গত ডিসেম্বর মাসে পূর্ণাঙ্গ এই রায় প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিলে ট্রাইব্যুনালের দেয়া সাজার রায় বাতিল চেয়েছেন দণ্ডিতরা।

এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামি ৩৪টি এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি ১৪টি আপিল দায়ের করেছেন।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ আগস্ট ২০১৯/মেহেদী/ এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়