‘তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : পদ্মা সেতুতে যাদের জন্য দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছিল তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

তিনি বলেছেন, ‘স্বপ্নের পদ্মাসেতু প্রকল্প যে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল, কানাডার আদালতের রায়ে তা আজ প্রমাণিত। দেশি-বিদেশি যাদের মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রে এই পদ্মা সেতু দীর্ঘসূত্রিতা লাভ করেছে ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভুল তথ্য ও মিথ্যা অপরাধে সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে, তাকে বিনাদোষে দুর্নীতির অভিযোগ বইতে হয়েছে, তার ব্যক্তিগত ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে, সেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব দিয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করবেন বলে আমার বিশ্বাস।’ এ ঘটনায় সরকারের তৎকালীন সচিবকে ইতোমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করায় এরশাদ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

এরশাদ আরো বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক কর্তৃক পদ্মার সেতুর এ অভিযোগকে ঘিরে সর্বোচ্চ সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে প্রাক্তন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে। তাকে রাজনীতি ও মন্ত্রিত্ব থেকে সরে যেতে হয়েছে। একজন দক্ষ মন্ত্রীর ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে গেছে। সচিবসহ অনেক কর্মকর্তাকে জেলে যেতে হয়েছে। বিশ্বব্যাংক দেশীয় স্বার্থান্বেষী মহল ও কতিপয় মিডিয়ার উদ্দেশ্যমূলক ও পরিকল্পিত ভূমিকা পদ্মা সেতুর ন্যায় একটি মেগা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হলো, বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলো।’

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পদ্মা সেতু ইস্যুতে কিছু মিডিয়া উদ্দেশ্যমূলকভাবে রিপোর্ট করে তৎকালীন মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারকে অহেতুক হেয় প্রতিপন্নের চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘পত্রিকার রিপোর্টসহ যাদের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরও ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

এরশাদ বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কানাডার আদালতে খারিজ হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একটি দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটল। কিন্তু পদ্মা সেতুর দীর্ঘসূত্রিতা, প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার দায় কে নেবে?’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/নঈমুদ্দীন/সাইফুল