ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

তিন বছর ধরেই অন্য স্কুলের কক্ষ ধার নিয়ে চলছে যে স্কুল

ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ১৪ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তিন বছর ধরেই অন্য স্কুলের কক্ষ ধার নিয়ে চলছে যে স্কুল

ভোলা সংবাদদাতা : তিন বছর ধরেই একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের কার্যক্রম চলছে আরেকটি হাইস্কুলের কক্ষ ধার নিয়ে।

হতভাগ্য এই প্রাইমারি স্কুলটির অবস্থান দ্বীপজেলা ভোলার লালমোহন উপজেলায় ধলিগৌরনগর ইউনিয়নে।

স্থানীয়রা জানান, ‘সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামের এই স্কুলটির ভবন ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে তিন বছর আগে ভেঙে নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ (এলজিইডি)।  ৩ বছর পার হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণ হওয়ার খবর নেই।

ফলে ওই প্রাইমারির শিক্ষক দুই শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে চতলা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ ধার নিয়ে  ক্লাস ও স্কুলের কার্যক্রম চালাচ্ছেন।  চরম ভোগান্তিতে চলছে তাদের পাঠদান।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত টেবিল, চেয়ার, ব্লাকবোর্ড নেই। শিক্ষকের কক্ষেও দরকারি আসবাব-পত্র নেই।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রাইমারিটি ভেঙে নেওয়ার পর থেকেই দুই কিলোমিটার দূরের স্কুলে কোমলমতি শিশুদেরকে পায়ে হেঁটে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে।

এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ‘স্কুল ভবনটি তিন বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে এলজিইডি নিলামে বিক্রি করেছে। পরে স্কুলের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে দুই কিলোমিটার দূরের চতলা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরিয়ে আনা হয়। এখানে আমরা একটি কক্ষকে দুটি কক্ষ বানিয়ে কোনো রকমে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি। এছাড়াও চতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন আরেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় একই স্থানে দুটি প্রাইমারির লেখাপড়া চলছে। যা কোন মতেই সম্ভব নয়।’

চতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই বলেন, ‘আমার স্কুলেই ৭২৬ জন শিক্ষার্থী। প্রতি ক্লাসে পৌনে ২০০ শিক্ষার্থী। ১০টি শ্রেণি কক্ষ দরকার। কমনরুমসহ সেখানে আছে মাত্র ৫টি কক্ষ। এর ওপরে সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে স্থান দিতে গিয়ে ক্লাস করতে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’

এব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী মো: ফোরকান সিকদার বলেন, ‘সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বিধায় ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে বিদ্যালয়টির তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’



রাইজিংবিডি/ভোলা /১৪ অক্টোবর ২০১৮/ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়