ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

তুফান ও রুমকি ফের রিমান্ডে

একে আজাদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২১, ৪ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তুফান ও রুমকি ফের রিমান্ডে

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং তাকে ও তার মাকে নির্যাতন করে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকার ও কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিকে তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

তুফানের সহযোগী মুন্না আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে এ মামলায় তিনজন জবানবন্দি দিলেন।

শুক্রবার বিকেলে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুফান সরকার, কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি এবং সহযোগী মুন্নাকে হাজির করা হয়।

এ সময় সহযোগী মুন্না ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। আর প্রধান আসামি তুফান ও রুমকির পাঁচ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। বিচারক আহসান হাবিবের আদালতে শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ রাইজিংবিডিকে জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আবার দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সহযোগী মুন্না স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

তুফান সরকার, কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি ও সহযোগী মুন্না শেখের দ্বিতীয় দফায় দুই দিন করে রিমান্ডের শেষ দিন ছিল আজ।

ওই কিশোরীকে আদালতের নির্দেশে গত মঙ্গলবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এ কে এম সাইফুল ইসলামের নেত্বত্বে একটি টিম তাকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেন। ফরেনসিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামতসহ প্রমাণ মেলে। গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ওই প্রতিবেদন দাখিল করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে মামলার আসামি জীবন ও আতিকুর রহমান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় গত ২৮ জুলাই বগুড়া সদর থানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, বগুড়া পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। নয়জন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর প্রথম দফায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

বগুড়ার এক কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন জাতীয় শ্রমিক লীগের বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফান সরকার। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।|

বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে মারধর করে নাপিত দিয়ে মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেন।

এ ঘটনার পর তুফানকে শ্রমিক লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/বগুড়া/৪ আগস্ট ২০১৭/এ কে আজাদ/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়