ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

দুঃসহ স্মৃতি ভোলার উপায় উদ্ভাবন

মোখলেছুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০৮, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুঃসহ স্মৃতি ভোলার উপায় উদ্ভাবন

প্রতীকী ছবি

মোখলেছুর রহমান : পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষই চায় তার পেছনে ফেলে আসা দুঃসহ খারাপ স্মৃতিগুলো ভুলে যেতে।

কারণ সেসব স্মৃতিগুলো বারবার আমাদের মস্তিষ্কে এসে নাড়া দেয় এবং আমাদেরকে বারবার সেসব দুঃসহ দিনগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যা আমাদেরকে আরো বেশি হতাশ করে তোলে। আমরা আমাদের কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলি।

তাই যদি দুঃসহ খারাপ স্মৃতিগুলো ভুলে থাকার কোনো উপায় খুঁজে পাওয়া যেত তাহলে হয়তো এ থেকে মুক্তি পাওয়া যেত।

এ ধরনের দুঃসহ খারাপ স্মৃতি যাদেরকে প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাদের জন্য সুখবর হল, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি মস্তিষ্ক থেকে দুঃসহ খারাপ স্মৃতি মুছে ফেলার উপায় খুঁজে পেয়েছেন।

টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিশেষজ্ঞ এক গবেষণায় আবিষ্কার করেছেন যে, যদিও মস্তিষ্কে লাখ লাখ কোষ রয়েছে কিন্তু তাদের মধ্যে শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় কোষ এসব খারাপ স্মৃতিগুলো ফিরে আসার জন্য দায়ী।

ইঁদুরের ওপর যুগান্তকারী এক গবেষণায়, তারা মস্তিষ্কে ‘ভয় বা হুমকি’ এর মতো স্মৃতিগুলোর সঙ্গে যুক্ত কোষগুলোকে চিহ্নিত করতে এবং মুছে  ফেলতে সমর্থ হয়েছেন।

গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন যে, এতে করে ইঁদুরের মস্তিষ্ক থেকে নির্দিষ্ট খারাপ স্মৃতিগুলো মুছে গিয়েছিল এবং অন্যান্য স্মৃতি অক্ষত ছিল।

বিজ্ঞানীরা পরবর্তী ধাপে মানুষের ওপর এই পরীক্ষাটি চালাতে চান।

এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন যে, শুধুমাত্র মস্তিষ্কের অল্প কিছু কোষ মস্তিষ্কে খারাপ স্মৃতিগুলো ফিরে আসার জন্য দায়ী।

অধ্যাপক শিনা জোসলিন, যার নেতৃত্বে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়, তিনি বোস্টনের বিশ্বের সর্ববৃহৎ একটি সম্মেলনে বলেন, ‘এই গবেষণার তথ্য এটিই প্রমাণ করে যে, দুঃসহ খারাপ স্মৃতি ভোলার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমগ্র শরীর বা এমনকি সমগ্র মস্তিষ্কেরও চিকিৎসা করার প্রয়োজন হবে না।’

স্মৃতি মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে অবস্থিত।

কিন্তু অধ্যাপক জোসলিনের নেতৃত্বাধীন গবেষক দল তাদের গবেষণায় খুঁজে পান যে, নিউরোন বা মস্তিষ্কের যে কোষগুলো ‘ভয় বা হুমকি’ স্মৃতির সঙ্গে এনকোডেড, সে স্মৃতিগুলো মস্তিষ্কের এক অংশে অবস্থিত থাকে এবং  অন্য স্মৃতিগুলো মস্তিষ্কের অন্য অংশে অবস্থিত।

গবেষণাগারে ইঁদুর নিয়ে কাজ করার সময় তারা শুধু সেসব কোষকেই রাসায়নিকভাবে লক্ষ্যবস্তু করেন, যেগুলো অপ্রীতিকর স্মৃতি ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে।

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, অপ্রীতিকর স্মৃতি মুছে ফেলার এই পদ্ধতি ধর্ষিত হওয়া এবং পিটিএসডি-তে ভোগা সৈন্যদের অনেক সাহায্য করবে।

তথ্যসূত্র: মিরর

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়