ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুই ওসিসহ ১৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

রুমন চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৬, ২৭ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুই ওসিসহ ১৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানা পুলিশের দুই পরিদর্শক, আট উপপরিদর্শক ও চার কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা হয়েছে।

হত্যা মামলার আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে ঘুষ দাবি ও পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামিকে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

বুধবার কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ভৈরব উপজেলা সদরের ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের শেখ সাদিয়া সুলতানা ও একই এলাকার শেখ শাহানাজ আক্তার সুমনা বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান মামলা দুটির প্রাথমিক অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পুলিশ সুপার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন ময়মনসিংহ সমন্বিত কার্যালয়ে সকল কাগজপত্র পাঠানো আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি সাদিয়ার ভাই শেখ আশরাফুল আলম বিজনকে ভৈরব থানার একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ওই বছরের ১১ মার্চ হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান বিজন।

এ মামলায় কারাগারে থাকার সময় সংঘটিত অন্য একটি হত্যা মামলায় তাকে আবার গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে এ মামলায় জামিন পেয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ এ বছরের ১৪ জানুয়ারি বিকেলে ভৈরব থানায় যান বিজন। এ সময় ভৈরব থানার এসআই ও দুই পরিদর্শক হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিতে তার কাছে এখ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।

শেখ আশরাফুল আলম বিজনের স্ত্রী শেখ শাহনাজ আক্তার সুমনা বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনের অভিযোগে ভৈরব থানার দুই পরিদর্শক, আট এসআই ও চার কনস্টেবলকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ভৈরব থানার একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি পুলিশ বিজনকে গ্রেপ্তার করে। একই বছরের ১১ মার্চ তিনি জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু বিজন জেলে থাকার সময় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সংগঠিত অপর একটি হত্যা মামলায় বিজনকে আসামি দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

গত ১৮ মে পুলিশ বিজনকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। আহত অবস্থায় থাকে কারাগারে পাঠানো হলে আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, আদালত বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য তার কাছে পাঠিয়েছে বলে শুনেছেন। তিনি ঢাকাতে থাকায় এখন পর্যন্ত কাগজপত্র দেখেননি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

রাইজিংবিডি/কিশোরগঞ্জ/২৭ জুন ২০১৯/রুমন চক্রবর্তী/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়