ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিলেন রাবি ছাত্রলীগ নেতা

মেহেদী হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ২৭ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিলেন রাবি ছাত্রলীগ নেতা

রাবি সংবাদদাতা: অর্থাভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে না পারা মেধাবী দুই শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রলীগ নেতা।

আর্থিক অনটনের কারণে উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন থমকে যাওয়া রংপুরের মজমুল ইসলাম আপন ও সিরাজগঞ্জের হাফেজ সওদাগর। ছাত্রলীগের ওই নেতা যথাক্রমে রাবির আইন বিভাগ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে দুজনকে ভর্তির ব্যবস্থা করেন এবং তাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন।

মজমুল ইসলাম আপন রংপুর জেলার কোতায়ালি থানার মটুকপুর গ্র্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। কৃষক বাবা বার্ধ্যক্যের কারণে বর্তমানে কাজ করতে পারেন না। অর্থাভাবে ভর্তি কোচিং না করে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করে পরিবারের অর্থের জোগান দিচ্ছিলেন আপন।

মজমুল ইসলাম এ বছর রাবির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ‘এ’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ২৩০তম, ‘বি’ ইউনিটে ১৮২তম এবং ‘ই’ ইউনিটে ৩২তম হন।

হাফেজ সওদাগর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া গ্রামের হরমুজ সওদাগরের ছেলে। চার ভাইবোনের মধ্যে হাফেজ তৃতীয়। স্থানীয় কালিয়া কান্দাপাড়া উচ্চ-বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এবং এইচএসসি পরীক্ষাতেও সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ অর্জন করেন। তিনিও এ বছর ‘এ’ইউনিটে মেধাতালিকায় ২৩৭তম ও ‘ই’ ইউনিটে ৩০২তম স্থান অর্জন করেন।

অর্থাভাবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারার বিষয়টি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে তা রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমানের নজরে আসে। পরে তিনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন।

জানতে চাইলে এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আপন ও হাফেজকে সাথে নিয়ে তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। যাতে তারা ক্যাম্পাসে ভালোভাবে চলতে পারে সেজন্য তাদের টিউশনিরও ব্যবস্থা করে দেবো। আপন ও হাফেজের মত অদম্য মেধাবীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। একটু সহযোগিতা পেলেই তারা অনেক দূর এগিয়ে যাবে, দেশকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

আপন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে যে টাকা লাগবে তা আমার পরিবারের পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব ছিল না। ভর্তির আবেদন ফরম পূরণ করেছিলাম বাড়ির একটি ছাগল বিক্রি করে। এহসান ভাই আমার ভর্তির সব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।’

হাফেজ বলেন, ‘এহসান ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই। তিনি অনেক ভালো মানুষ। ভাই আমার পাঁশে না দাঁড়ালে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হতো না।’




রাইজিংবিডি/রাবি/২৭ নভেম্বর ২০১৮/মেহেদী হাসান/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়