ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নদীর তীরের স্থাপনা উচ্ছেদে ফাস্ট, স্থাপনে স্লো

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:১০, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নদীর তীরের স্থাপনা উচ্ছেদে ফাস্ট, স্থাপনে স্লো

সৌন্দর্যবর্ধন ও ওয়াকওয়ে (হাঁটার পথ) নির্মাণসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকার চারপাশের নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু সীমানা পিলার স্থাপনসহ অন‌্যান‌্য কার্যক্রম কচ্ছপ গতিতে চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উচ্ছেদ অভিযান গত জানুয়ারিতে শুরু হয় হয়ে চলে জুন মাস পর্যন্ত। অভিযান চালিয়ে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর পাড়ের অধিকাংশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ছিল কঠিন কাজ। এতে নানা ধরনের বাধা এসেছে। তারপরও অধিকাংশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

গত ৬ জুলাই  কামরাঙ্গীরচরের খোলামোড়া ঘাটে নদীর পাড়ে স্থায়ী সীমানা খুঁটি বসিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে উদ্বোধনের পর থেকে কাজে গতি নেই। বিআইডব্লিউটিএ (অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ) উচ্ছেদ ও সৌন্দর্যবর্ধন ও সীমানা পিলার বসানোর দায়িত্বে রয়েছে।

শনিবার ঢাকার চারপাশে নদীর পাড় ঘুরে আর কোথাও সীমানা পিলার বসানো ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের কার্যক্রম নজরে পড়েনি। ফলে আবার প্রভাবশলীরা দখল শুরু করতে পারে।

বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, বিদেশ থেকে উন্নত মানের যন্ত্র আনতে সময় লাগছে। যে স্থানে সীমানা পিলার বসানো হবে, তা চিহ্নিত করতেও কিছুটা সময় যাচ্ছে। তাই কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর অপর এক কর্মকর্তা বলেন, নদীর যে সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে, তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে। গত মাসে কামরাঙ্গীরচরের খোলামোড়া ঘাটে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৩৩টি পয়েন্ট বুঝিয়ে দেয়া হয়। উদ্বোধনের পর দৃশ্যমান কাজ না হলেও আনুষঙ্গিক কাজ হয়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকে সীমানা খুঁটি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীর অবৈধ দখল থেকে নদীকে বাঁচাতে কাজ করছি। আমরা গন্তব্যে পৌঁছাতে চাই। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমঝোতা করব না। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নদী উদ্ধারে কাজ করছে। জনগণ সমর্থন দিয়েছে। এ সমর্থন ধরে রাখতে চাই। আমাদের কাজ যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, মুখ থুবরে না পড়ে সে প্রচেষ্টা থাকবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ঢাকাকে রক্ষা করব। নদীকে রক্ষার জন্য কমিউনিটি পুলিশ গঠন করা হবে। চলতি মাস থেকে (সেপ্টেম্বর) থেকে সীমানা খুঁটি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। নভেম্বর থেকে বাকি কাজগুলোও শুরু হবে।

উল্লেখ্য, বিআইডব্লিউটিএ সম্প্রতি উচ্ছেদের মাধ্যমে নদীর তীরের প্রায় ১৫২ একর ভূমি উদ্ধার করেছে। ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর তীরে ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা খুঁটি বসানো হবে। এর মধ্যে ঢাকা নদীবন্দর এলাকায় বসানো হবে ৩ হাজার ৮০৩টি খুঁটি। বাকি সীমানা খুঁটি টঙ্গী বন্দর ও নারায়ণগঞ্জ বন্দরের সীমানায় বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা শহরের চারিদিকে নৌপথ উন্নয়নে সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ হবে।


ঢাকা/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়