ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নরসিংদীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

গাজী হানিফ মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৯ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নরসিংদীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

নরসিংদী সংবাদদাতা : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নরসিংদীর বিভিন্ন উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদ যতো এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে বেচা-কেনা। ক্রেতাদের পাশাপাশি হাটগুলোতে ভিড় করছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বেপারিরাও।

নরসিংদী জেলার প্রধান পশুর হাটগুলো হচ্ছে-নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর, শিবপুরের পুটিয়া, যোশর বাজার, গড়বাড়ী বাজার ও শিবপুর সদর বাজার। মনোহরদীতে বাসস্ট্যান্ড বাজার, হাতিরদিয়া ও চালাকচর বাজার। বেলাবোতে সদর বাজার, নারায়ণপুর বাজার, দক্ষিণ বটেশ্বর বাজার ও পোড়াদিয়া বাজার। রায়পুরায় শ্রীরামপুর বাজার, মৌলভী বাজার, জংগী শিবপুর, রামনগর (শুক্কুইরা বাজার), রাধাগঞ্জ, বাইশমৌজা ও মনিপুরা বাজার। পলাশ উপজেলার চর্নগরদী, তালতলী ও ঘোড়াশাল বাজার।

এছাড়া নিয়মিত এ হাটগুলোর পাশাপাশি কোরবানি উপলক্ষে বসেছে অস্থায়ী আরো ৭৩টি গরু, মহিষ ও ছাগলের হাট। তবে স্থায়ী হাটগুলো জমে উঠলেও অস্থায়ী হাটগুলো এখনো তেমন একটা জমজমাট হয়ে উঠেনি।

বৃহস্পতিবার রায়পুরা উপজেলার মনিপুরা পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের অসংখ্য দেশীয় গরু হাটে উঠেছে। ৩০ হাজার থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকার গরুও হাটে এসেছে। এছাড়া হাটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিষ ও ছাগল নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। তবে বাজারে ক্রেতা অনুসারে পশুর সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। হাটের নির্ধারিত জায়গা ছাড়িয়ে হাট ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের পতিত জমি ও সড়কগুলোতে। কিন্তু বিক্রেতারা দাম হাকাচ্ছে অনেক বেশি তাই ক্রেতাদেরকে তাদের সাধ্যমতো দামদর করতে দেখা গেছে। হাট ভর্তি পশু থাকলেও বিক্রি হচ্ছে কম। তবে বিক্রিতাদের চাহিদা অনুসারে দাম না পাওয়ায় অনেকে হাট থেকে পশু ফেরতও নিচ্ছেন।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ছোট আকার গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। মাঝারি আকারের গরু ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। ছোট আকারের মহিষের দাম চাওয়া হচ্ছে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং বড় আকার মহিষ দুই লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা। ছোট খাসির দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ২০ টাকা এবং মাঝারি আকার খাসি দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা।

হাটে আবুল কালাম নামে এক মহিষ বিক্রেতা জানান, তিনি গত দুই মাস আগে বিক্রির উদ্দেশে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকায় দু’টি মহিষ কিনেছিলেন, লালন-পালন করে ঈদে বিক্রি করবেন। এখন বাজারে এনে দেখে তার লোকসান গুণতে হচ্ছে।

এ হাটে গরু কিনতে আসা গোলাম মোস্তফা নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘হাটে পছন্দসই গরুর অভাব নেই। তবে বিক্রেতারা দামটা একটু বেশি চাইছেন।’ তবে মাঝারি গরুগুলোর ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকায় তুলনামূলক দামও একটু বেশি বলে মনে করেন তিনি।

আমির হোসেন নামে এক বেপারি জানান, তিনি নরসিংদীর বিভিন্ন হাট থেকে ছোট ও মাঝারি আকারের গরু, মহিষ কিনে ঢাকা এবং গাজীপুরে নিয়ে বিক্রি করছেন। এবার বিক্রেতারা বলছেন, ঘাস খড়ের পাশাপাশি খৈল, কুড়া, ভুসি প্রভৃতি খাদ্যের দাম একটু বেশি হওয়ায় পশু লালন পালন করতে তাদের একটু বেশি খরচ হয়েছে তাই পশুর দাম তুলনামূলক বাজারে বেশি। তাছাড়া এবার ভারতীয় গরুর চাপ না থাকায় স্থানীয় বাজার থেকে একটু বেশি দামে কোরবানির পশু কিনতে হচ্ছে।

এদিকে পশুর হাটগুলোতে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে।


রাইজিংবিডি/নরসিংদী/০৯ আগস্ট ২০১৯/গাজী হানিফ মাহমুদ/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়